Salt-Lake Unnatural Death: বুধবার সাতসকালে সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরের হুলস্থূল কাণ্ড। বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাশ থেকে উদ্ধার স্বামী। জানা গিয়েছে, পেশায় চিকিৎসক যদুনাথ মিত্র তাঁর স্ত্রী মন্দিরাকে নিয়ে সল্টলেকের সেক্টর তিনের জিসি ব্লকের ৩০ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা। বুধবার সত্তরোর্ধ্ব মন্দিরার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। পাশেই মেলে একটি রক্তমাখা ছুরি। বাড়ি থেকে যদুনাথকেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যদুনাথকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে মিত্র পরিবারের বাড়িতে পরিচারিকা কাজ করতে আসেন। বাড়িতে ঢুকেই পরিচারিকা দেখতে পান যে, শৌচাগারে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধা মন্দিরা মিত্রের রক্তাক্ত দেহ। ডাইনিং রুমে পড়ে আছেন যদুনাথ মিত্র। যা দেখেই পরিচারিকার চিৎকার করে পাড়া-প্রতিবেশীদের ডাকেন। খবর যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh Show-caused: মমতাকে বাপ তুলে আক্রমণ! দিলীপকে শো-কজ নোটিস ধরাল বিজেপি
জিসি ৩০ নম্বর বাড়িতে যান বিধাননগর কমিশনারেটের প্রধান গৌরব শর্মা। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর কমিশনার জানান, বাড়ির দোতলায় সেনার অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক যদুনাথ মিত্র স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। যদুনাথের বয়স আনুমানিক ৮৪ বছর। নীচের তলা ভাড়া দেওয়া। দোতলার শৌচাগার থেকে স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, মহিলাকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডাইনিং টেবিলের কাছ থেকে যদুনাথকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সংজ্ঞাহীন। ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
পুলিশের খবর, অকুস্থল থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট। যাতে চার লাইন বাংলা, ও বাকিটা ইংরেজিতে লেখা। বাংলার লেখা অনুসারে, যদুনাথ মিত্র নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে তিনি স্ত্রীকে মেরে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন।
জখম যদুনাথবাবুর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
মানসিক অবসাদ, নাকি অন্যকোনও কারণ, কেন এই পদক্ষেপ করতে হল বৃদ্ধ যদুনাথকে? এই প্রশ্নের উত্তরেই খুন ও আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ খুঁজছে পুলিশ।