Advertisment

অবাককন্যের আশ্চর্য্য কীর্তি! অবিস্মরণীয় প্রতিভায় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা মুঠোয়! বাংলার মুখ উজ্বল

এই ছোট্ট বয়সেই খুদে কন্যার এমন তাকলাগানো কীর্তিতে পরিবারের পাশাপাশি গর্বিত প্রতিবেশীরাও।

IE Bangla Web Desk এবং Nilotpal Sil
New Update
Samarpita Mandal of Birbhums Nalhati has entered the India Book of Records

অবাক কন্যের কীর্তির প্রশংসা সর্বত্র।

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে নজির গড়েছে একরত্তি শিশু কন্যা। বীরভূমের নলহাটির অশোক পল্লিতে খুশির হাওয়া। এই এলাকার মণ্ডল বাড়ি এখন দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। ফুটফুটে একরত্তি কন্যার এমন কীর্তির প্রশংসা সর্বত্র। প্রায় সময়েই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। অবাক কন্যেকে কাছ থেকে দেখতে উন্মাদনার শেষ নেই।

Advertisment

বীরভূমের নলহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অশোক পল্লি। এই এলাকারই বাসিন্দা সুদীপ্ত মণ্ডল। পেশায় একটি বেসরকারি কলেজের কর্মী তিনি। তাঁর স্ত্রী নলহাটির সিংহবাহিনী পাড়ার বাসিন্দা লিমা সূত্রধর মণ্ডল নিপাট গৃহবধূ। তাঁদের আড়াই বছরের মেয়ে সমর্পিতা মণ্ডল ২০২৩ সালের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

এই আড়াই বছর বয়সেই ওই শিশু কন্যার মুখে শোনা যায় সরস্বতী মন্ত্র ও কৃষ্ণ মন্ত্র সহ বিভিন্ন সংস্কৃত ভাষার বেশ কয়েকটি মন্ত্র। এছাড়াও তার মুখস্থ রয়েছে ইংরেজি এবং বাংলার একাধিক ছড়া। শিশু কন্যার এমন কীর্তির কথা ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায়। বাবা-মাও তাঁদের মেয়ের এই প্রতিভা দেখে অন-লাইনে আবেদন করেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। নিয়ম মেনে পাঠানো হয় সমস্ত তথ্য। এমনকী অন-লাইনে মেয়ের প্রতিভার পরীক্ষা নেয় সংস্থাটি। তারপরেই ২০২৩ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত হয়।

সংস্থার পক্ষ থেকে পদক, শংসাপত্র পাঠানো হয় নলহাটির মণ্ডল বাড়িতে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হতেই অশোকপল্লির মণ্ডল বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন পাড়া প্রতিবেশীরা।

আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কায় সতর্কতা বাংলাতেও! কোন কোন জেলায় তেড়ে বৃষ্টি?

publive-image

বাবা-মা ও দাদু দিদার মাঝে ছোট্ট সমর্পিতা মণ্ডল।

লিমা সূত্রধর মণ্ডল বলেন, “আগে মোবাইলে দেখতাম কত ছেলেমেয়ে প্রতিভার জন্যই দেশ-বিদেশে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। উজ্জ্বল করেছে নিজের শহর এবং বাবা মায়ের নাম। তখনই আমার সুপ্ত ইচ্ছে জন্ম নেয়। ঠিক হয় আমাদের সন্তান হলে তাকেও তেমনটা করার চেষ্টা করব। সেই মত করে এক বছর বয়স থেকে মেয়েকে খেলার ছলে কৃষ্ণ মন্ত্র, সরস্বতী মন্ত্র শেখাতে শুরু করি। ইংরেজি ও বাংলা কবিতা পরে শোনাতাম। প্রতিভার জেরে মেয়ে সেই সব মন্ত্র, কবিতা রপ্ত করে ফেলে। এরপরেই আমার স্বামী ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে আবেদন করে। সেই আবেদনে মেয়ের প্রতিভার দেখে যোগ্য সম্মান দেয় ওই সংস্থা। আগামী দিনে মেয়ের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করছি।”

খুদে কন্যার বাবা সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “মেয়ের এই প্রতিভার কারিগর ওর মা। আমি সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকি। যেটুকু সময় পাই মেয়েকে দেখাই। আগামী দিনে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রার্থনা করব।”

Birbhum West Bengal india book of records
Advertisment