Advertisment

সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলির চাকরি, কাস্তে-হাতুড়ির অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় বোমা প্রাক্তন সিপিএম নেতার!

এমন কী বললেন পিডিএস নেতা?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
samir putatunda on sujan chakrabortys wife milis recruitment , সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলির চাকরি, কাস্তে-হাতুড়ির অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় বোমা প্রাক্তন সিপিএম নেতার!

সুজন চক্রবর্তী, মিলি চক্রবর্তী, সমীর পুততুন্ড

পরীক্ষা দিয়ে কলেজের ক্লার্ক পদে চাকরি পেয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য? তাঁর নিয়োগপত্র প্রকাশ করে এই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। সিপিআইএমের দাবি, মিলিদেবীর চাকরিতে কোনও স্বজনপোষণ হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কের মাঝে আপাতত সুজনের স্ত্রীর চাকরি পাওয়া নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এসবের মধ্যেই মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাক্তন সম্পাদক সমীর পুততুন্ড।

Advertisment

বর্তমানে পিডিএস নেতা সমীর পুততুন্ড। বাম আমলে নিয়োগ নিয়ে তাঁর মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়তে পারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের। সমীরবাবুর সাফ কথা, 'দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কাজের একটা সুযোগ ছিল। করে দিয়েছিলাম।'

মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে কী বলেছেন সমীর পুততুন্ড? সমীরবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএম নেতা ছিলেন। ১৯৮৫ সালে জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হয়েছিলেন। তারপর দলের জেলা সম্পাদক হন। তাঁর দাবি, 'সুজনের বিয়ের আগের ঘটনা। মিলির চাকরিটা হয়ে গেলে সুজনদের সুবিধা হবে। আমায় তখন বারবার তাই ইনসিস্ট করা হয়েছিল। তখন গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কাজের একটা সুযোগ ছিল। করে দিয়েছিলাম।'

আরও পড়ুন- ‘অভিষেকের নামে কুৎসা? জিভ টেনে ছিঁড়ে নেব!’, কাকে পিষলেন যুব তৃণমূল নেতা?

শুধু কী মিলিদেবী-ই, নাকি প্রভাবশালী নেতা হিসাবে সেই সময় আর কতজনের এমন চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন সমীর পুততুন্ড? পিডিএস নেতার কথায়, 'এভাবে কত লোকের চাকরি হয়েছে। প্রাক্তন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তীর সুবিধার জন্য কত কিছুকরতে হয়েছে তখন। আমি ইউনিভার্সিটির সেনেট মেম্বার ছিলাম, সে সময়ে ইউনিভার্সিটি চালানোর জন্যও কিছু রিক্রুটমেন্ট হয়েছে। প্রশাসনের কাজ চালানোর জন্যও লোক নিতে হয়েছে। এগুলো সবই হয়েছে পার্টির নির্দেশেই।' অর্থাৎ দলের নির্দেশেই সেই সময় বহু নিয়োগ হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন সমীর পুততুন্ড।

তৃণমূল জমানায় টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, দলের দুই যুব নেতা, শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন আধিকারিক। এনিয়ে সমীর পুততুন্ড বলেন, 'আমি ২০০১ সালে সিপিএম ছেড়ে দিয়েছি। ততদিন অন্তত টাকার বিনিময়ে চাকরির বিষয়টি চালু হয়নি।'

তৃণমূলের দাবি, দলের সব ক্যাডারদের কোনও-না-কোনও নিকট আত্মীয় বাম আমলে সরকারি চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। সত্যিই কি তাই? সমীর পুততুন্ড বলেন, 'আমি এবং আমার ভাই সিপিএমের হোলটাইমার ছিলাম। তখন সবাই বলেছিল এদের এক ভাইয়ের চাকরি হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা আলোচনা করে ঠিক করেছিলাম, ছোট ভাইকে চাকরিতে ঢোকাব না। কারণ ছিল অনেককে চাকরি দিতে পারছি না। পরে আমি আর অনুরাধা দেব যখন সংসার শুরু করি, তখন কথা হয়েছিল, অনুরাধা কোনও এক চাকরিতে ঢুকবে, কিন্তু অনুরাধাও হোলটাইমারই থাকতে চেয়েছিল।'

সমীর পুততুন্ড অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, যখন যে রাজনৈতিক দল প্রশাসন চালায়, তখন সবাই নিজের দলের লোককে রিক্রুট করে। এটার ভারতের সর্বত্র হয়ে থাকে।

sujan chakraborty WB SSC Scam
Advertisment