সান্দাকফু থেকে ফালুট পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার রাস্তা থেকে কঠিন বর্জ্য সাফাই করলেন ১৬ জন পর্বতারোহী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ পথ থেকে মদের বোতল সহ অন্যান্য যে বর্জ্য মিলেছে, তার পরিমাণ আঁতকে ওঠার মত। ৩,২২৫ কিলোগ্রাম।
ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশন এবং অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত 'ক্লিন হিমালয়' প্রোগ্রামে ১৬ জন পর্বতারোহী স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে শুরুতে দুটি দলে ভাগ হয়ে যান। গৌরীবাসকে কেন্দ্র করে চলে এই সাফাইপর্ব। একটি দল গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যায় ফালুটে। সেখান থেকে দলের সদস্যরা বর্জ্য তুলতে তুলতে গৌরীবাস পৌঁছন। অন্য দলটি মানেভঞ্জন থেকে একই ভাবে বর্জ্য তুলতে তুলতে এসে পৌঁছয় গৌরীবাস।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির দহে পড়ে বদলে যাচ্ছে কাঁসাই শিলাবতী নদীরা
এই সাফাইয়ে মোট ৩,২২৫ কেজি কঠিন বর্জ্যের মধ্যে ৬০ শতাংশই মদের বোতল। বাকিটা চিপস, গুটখা, প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি জাতীয় পদার্থ। এগুলি ২২৫ টি বস্তায় ভরে চারটি পিক আপ ভ্যানে করে পাহাড় থেকে সমতলে নামিয়ে তুলে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের হাতে।
২২৫ টি বস্তায় ভরে পাহাড় থেকে সমতলে নামিয়ে আনা হয়েছে কঠিন বর্জ্য
এই সাফাই অভিযানের পর বিগত বছরগুলির অভিযান এবং সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযাত্রী দলের কো-অর্ডিনেটর ভাস্কর দাস। তিনি বলেছেন, "বিভিন্ন সংস্থার তরফ থেকে হিমালয় সাফাইয়ের দাবি করা হচ্ছে। এ দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত? পাহাড়ে দূষণ নিয়ে যে লাগাতার প্রচার চলছে, তা কি আদৌ মানা হচ্ছে?" তবে লাগাতার প্রচারাভিযান চালিয়ে যাওয়ার যে কোনও বিকল্প নেই সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
এই অভিযানে এলাকার মানুষদের সঙ্গে নেওয়া যে অত্যন্ত জরুরি, সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন সচেতন অভিযাত্রীরা। তাঁরা বলছেন, এখন এলাকাবাসীরাই পাহাড়ে আসা পর্যটক ও ট্রেকারদের বোঝাচ্ছেন, তাঁরা যেন প্লাস্টিক বা কাচ বা কোনও ধরনের সলিড ওয়েস্ট পাহাড়ের কোলে না ফেলে আসেন।