পুলিশের গাফিলতির কারণেই সন্দেশখালিতে মৃত্য হয়েছে সিভিক পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতির। অভিযোগ মৃতের বাবা গৌর মাইতির। তিনি বলেন 'পুলিশ সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমার ছেলেকে বেঁচতে পারতো। কিন্তু, জখম অবস্থায় ওকে তিন ঘন্টা ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশি গাফিলতিই আমার ছেলের মৃত্যুর কারণ।' কেন এমন হল? তা নিয়ে পুলিশকে জিজ্ঞাসা করবেন বলেও জানান ছেলে হারা বাবা। তবে, মৃত বিশ্বজিতের বাবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালির খুনলা এলাকার পোলপাড়া সিথিলিয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে পুজোর অনুষ্ঠান ঘিরে দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী কেদার সর্দার ও বিধান সর্দারের মধ্যে গোলমাল বাধে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সন্দেশখালি থানার সাব ইন্সপেক্টর অরিন্দম হালদার ও তাঁর তিন সহকর্মী। দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে জখম হন সন্দেশখালি থানার এসআই অরিন্দম হালদার। তাঁর হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে বলে খবর। ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতিরও পেটে গুলি লাগে। পরে কলকাতার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাতেও বহু নেতার গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে’, বিস্ফোরক রাজ্যপাল ধনকড়
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনীতি শুরু হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তৃণমূল ও বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, 'একটি অনুষ্ঠান চলছিল গ্রামে। সেখানে গিয়ে হামলা চালিয়েছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা।' রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'এই দুষ্কৃতীরা আগে সিপিএম করতো, বর্তমানে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। প্রশাসনের হাত থেকে দোষীরা ছাড় পাবে না।'
সন্দেশখালির ঘটনার জন্য পাল্টা রাজ্যের শাসক দলকেই দায়ী করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, 'দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। ওদের তাণ্ডব থামাতে গিয়েই পুলিশ মার খেয়েছে।' গত শুক্রবারের এই ঘটনার জন্য পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে।
Read the full story in English