রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল ইডি। যাকে কেন্দ্র করে বেনজির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বেপরোয়া আক্রমণের শিকার হন ইডির গোয়েন্দারা। মারধর করে এক ইডি আধিকারিকে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। অন্যরা প্রহৃত। রীতিমত প্রাণভয়ে পালিয়ে আসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এতবড় হুলস্থূল কাণ্ডের পরও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এরপরই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কী বলেছেন রাজ্যপাল?
সন্দেশখালির ঘটনার জন্য সরাসরি মমতা প্রশাসনকেই দায়ী করছেন সিভি আনন্দ বোস। সরকারের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রীতিমতো 'ফল ভুগতে হবে' বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাজ্যপাল বলেছেন, 'সরকারের উচিত গণতন্ত্রে এই ধরনের বর্বরতাকে রোখা। পেশীশক্তি ও কাগুজে বাঘদের নামিয়ে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো যাবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি চলতে পারে কেবলমাত্র মুর্খের স্বর্গেই। বাংলায় দুর্বল গণতন্ত্র নেই। রাজ্য সরকারের নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত। রাজ্যপাল হিসেবে, সংবিধান অনুযায়ী সব বিকল্প খতিয়ে দেখে যথা সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ করব।'
আরও পড়ুন- সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
রাজ্যপালের হুঁশিয়ারি, 'এই ধরনের ভোট পূর্ববর্তী হিংসার শুরুতেই অবসান হওয়া দরকার। হিংসা থামানোর দায় শুধুমাত্র সরকারের। সরকারের উচিত বাস্তব বুঝে পদক্ষেপ করা উচিত। নইলে তার ফল ভোগ করতে হবে।'
পুলিশ প্রশানকেও কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, 'আইনশৃঙ্খলার অবনতি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে পারে না পুলিশ। হিংসায় দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদেরও বোঝাতে হবে, কিছু লোককে সামান্য সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারেন না। বাংলায় অবিলম্বে হিংসা ও দুষ্কৃতীরাজ থামাতে হবে।'
রাজভবন সূত্রে খবর, সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যপাল মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে তলব করেছেন।
কী বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?
'রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? তদন্তকারী সংস্থা আক্রান্ত হলে কী ভাবে তদন্ত হবে?'