/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/02/Jounalist-Arrest-Sandeshkhali.jpg)
Jounalist Arrest-Sandeshkhali: অন্ধকারের মধ্যে ওই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। (ছবি-ফেসবুক)
Journalist Santu pan: সন্দেশখালিতে ধৃত বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক সন্তু পানের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের। পাশাপাশি, পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশও জারি করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এই মামলার শুনানির পরে বিচারপতি কৌশিক চন্দর মন্তব্য়, 'পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। এফআইআর দেখে প্রাথমিকভাবে অযৌক্তিক এবং মোটিভেটেড মনে হচ্ছে। এফআইআর দেখে বোঝা যাচ্ছে গোপন জবানবন্দিতে কী থাকতে পারে।'
এদিনের শুনানিতে সন্তুর পক্ষে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি জানান যে, সম্ভ্রমহানির অভিযোগ ছাড়া বাকি সবটাই জামিনযোগ্য, গোটা বিষয়টি উপহাসের মত।
এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে কার্যত ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত বলা সত্ত্বেও, সম্ভ্রমহানি পেশ করা ভিডিওতে দেখাতে পারল না রাজ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। রাজ্যকে নিশানা করে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এদিন বলেছেন, 'মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারছেন না, নিরীহ সাংবাদিকদের গ্রেফতার করছেন। পুলিশ আধিকারিকদের বলুন, তাঁদের যেটা করার, সেটা করতে। পুলিশ আধিকারিকদের কথা ভেবে আমি দুঃখিত।'
গত সোমবার সাংবাদিক সন্তু পানকে সন্দেশখালি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এলাকার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সাংবাদিককে। লাইভ টেলিকাস্ট হওয়ার সময়ই দেখা যায়, টেনে হিঁচড়ে সন্তুকে টোটোয় করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর তাঁকে আদালত ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা ওঠে। সেখানেই জামিন পেলেন সাংবাদিক সন্তু পান।