Sandeshkhali TMC: সন্দেশখালি যেন তৃণমূলের অস্বস্তির কাঁটা। শান্তির পরিবেশ ফেরাতে আগামী রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্দেশখালিতে জনসভা করার কথা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। দলীয় সূত্রের খবর, রবিবারের ওই সভা আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সভা হলে একদিকে যেমন পরীক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়বেন তেমনই বিরোধীরা বিষয়টিকে ইস্যু করতে পারে। তাই ওই সভা পিছনো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা। তারপর ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করবে তৃণমূল। সভায় দলের রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। ওই দিন সন্দেশখালিতে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করতে চাইছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- Sheikh Shahjahan: দিনের পর দিন বেপাত্তা সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান, অথচ খামতি নেই আগাম জামিনের আবেদনের
তবে, ১৮ তারিখ তৃণমূলের কর্মসূচি অবশ্য পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে না। রবিবার সন্দেশখালি যাবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বর সঙ্গে কথা বলবেন।
গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। যাকে ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। বেপাত্তা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর গোষ্ঠীর অত্যাচারের প্রতিবাদে ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বহু মহিলার অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে মেয়েদের তুলে নিয়ে অত্যাচার করা হত। অন্যদিকে বিজেপি-সিপিএমের বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্রে'র অভিযোগে সরব খোদ মুখ্যমন্ত্রী। 'সন্দেশখালিতে আরএসএসের বাস' বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গ্রামের মানুষের সোচ্চার মুখে ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে মঙ্গলবার সন্দেশখালির কালীনগর থেকে পার্থ জানিয়েছিলেন, 'গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ তৃণমূল বরদাস্ত করে না। যদি এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা হবে।' পার্থর ওই ঘোষণা মতো, এদিন সন্দেশখালি দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মহেশ্বর সর্দারের নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীদের দোকানে দোকানে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উপযুক্ত নথি এবং খাতা দেখে কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা নথিবদ্ধ করছেন।