/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/Sandeshkhali-police-station.jpg)
Sandeshkhali Police Station: গত ৫ জানুয়ারি ইডি-র উপর শাহজাহান বাহিনীর হামলা ও তার আগে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের সুরাহা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সন্দেশখালি থানার ভূমিকা।
Sandeshkhali Police Station OC Biswajit Sapui Transfer: সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে শেখ শাহজাহান। তদন্তের প্রয়োজন গত দু'দিন সেখানে গিয়েছে সিবিআই গোয়েন্দারা। এসবের মধ্যেই সন্দেশখালি থানার ওসি-কে রাতারাতি বদল করে দিল প্রশাসন!
সন্দেশখালি থানায় এতদিন যিনি ওসি ছিলেন, সেই বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে পাঠানো হল বসিরহাট থানায়। আর বসিরহাট পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি গোপাল সরকারকে সন্দেশখালির দায়িত্ব দেওয়া হল। শনিবার সকালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই রদবদলের কথা জানিয়েছেন বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হাসান মেহেদী রহমান।
আরও পড়ুন-Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে মারাত্মক কথা বলে ফেললেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ! তুমুল বিতর্ক
শুধু সন্দেশখালি থানার ওসি-ই নয়, বদল করা হয়েছে বাদুরিয়া থানার বর্তমান ওসি প্রশান্ত মণ্ডল-কেও। তাঁকে পাঠানো হল হেমনগর কোস্টাল থানায়। এছাড়া বসিরহাট পুলিশ জেলায় আইনশঙ্খলার দায়িত্বে যে চার জন চার জন সাব ইন্সপেক্টরকেই ছিলেন- জয়ন্ত ঘোষ, তাপস কান্নার, শৈলেন্দ্র মিস্ত্রি ও রাজু মণ্ডল, তাঁদের সকলকেই সরানো হয়েছে।
কেন হঠাৎ এই রদবদল? মনে করা হচ্ছে, সন্দেশখালির পরিস্থিতি আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শাহজাহান কাণ্ডে সিবিআই-য়ের তৎপরতা তুঙ্গে। ফলে সন্দেশখালি কাণ্ডের সময় যেসব পুলিশ অফিসার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের কৌশলে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। এছাড়া, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ কলকাতায় এসে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যে মাত্রায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে, তাতেই ইঙ্গিত মিলেছে যে, ভোটের আগে বসিরহাট পুলিশ জেলায় পুলিশ কর্তাদের ব্যাপক রদবদল করা হতে পারে। তাই আগেভাগেই রাজ্য প্রশাসনই সেই কাজ করে দিল।