Shahjahan Sheikh of Sandeshkhali: ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৮ দিন। তারপরও সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের খোঁজ পেল না পুলিশ। ইডি-র আশঙ্কা, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের উপর হামলার পর এই 'বাহুবলী' তৃণমূল নেতা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। জারি হয়েছে লুকআউট নোটিশ। এরমধ্যেই অবশ্য গোপন ডেরা থেকে অডিও বার্তা দিয়েছেন শাহজাহান। শাসক দলের এই নেতার আস্তানা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর চর্চা। তার মধ্যেই শাহজাহান নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বাংলাদেশের সঙ্গেই তিনি আরেকটি দেশের নাম জুড়ে বিস্ফোরক বনগাঁর সাংসদ।
শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য-
ইডি-র অফিসারদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন চলছে। হাইকোর্টে অবশ্য মৌখিক স্বস্তি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই আবহেই শাহজাহান কোথায় সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'পুলিশের পক্ষে ওকে খোঁজা সম্ভব নয়, কারণ রহিঙ্গা গোছাতে শাহজাহান বাংলাদেশ বা মায়ানমারে পালালে তো ওকে খোঁজা যাবে না। সন্দেশখালিতে যে তুলকালাম হয়েছিল তার দ্বিগুণ করতেই হয় তো ও এই দেশ গুলোতে রহিঙ্গা ধরতে গিয়েছে। পুলিশই শেলটা দিয়ে ওকে বার করে দিয়েছে। এরা তো অ্যান্টি ন্যাশনালিস্ট। ওর সাজা হবেই।'
আরও পড়ুন- Saints Assaulted In Purulia: বাংলায় সাধুদের ফেলে মার, ‘তোষণ’ তোপ মোদীর দাপুটে মন্ত্রীর, উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি
ইডির তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, শাহজাহানের পাসপোর্টের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে ২০১৭ সালে মায়ানমারে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চলাকালীন সেখানে গিয়েছিল শাহজাহান শেখ। ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত মায়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে ছিল সে। রাখাইন প্রদেশে রাথেডাউং ও সিনটেন মাও এলাকায় দেখা গিয়েছিল শাহজাহানকে। সেখানে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিল এই তৃণমূল নেতা। রোহিঙ্গাদের ‘কল্যাণে’ বাংলাদেশি টাকায় প্রচুর দান ধ্যান করেছিল সে।
আরও পড়ুন- Himanta Biswa Sarma in Kolkata: টার্গেট বাংলা! ‘আগুনে প্ল্যান’ রেডি বিজেপির! শুভেন্দুদের আরও গরম করতে আসরে হিমন্ত
ইডির গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মায়ানমার থেকে ফিরেই সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করতে থাকে শাহজাহান। সেজন্য সরবেড়িয়া বাজারে ব্যবসায়ীদের থেকে একপ্রকার গায়ের জোরে টাকা তুলতে শুরু করে সে। নাম দেয়, রোহিঙ্গা সংগ্রামী তহবিল। সেজন্য সরবেড়িয়া বাজারে একটি বাক্সও রাখা হয়। তাতে প্রচুর টাকা জমা পড়ে। পরে তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বাক্স সরিয়ে নেয় শাহজাহানের অনুগামীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ওই তহবিলের টাকায় মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের একাংশকে চোরা পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করানো হয়। তার পর তাদের বসতি গড়ে দেয় শাহজাহান।
আরও পড়ুন- Somnath Shyam: ‘খুন হতে পারি’, সাংঘাতিক আশঙ্কার পরই বাড়ল অর্জুন ‘শত্রু’ সোমনাথের নিরাপত্তা