Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, জুলুমবাজির অভিযোগে আজ ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় বামেরা। সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এই দ্বীপাঞ্চলে বনধের (Bandh) তেমন প্রভাব চোকে না পড়লেও এলাকা বেশ থমথমে। এদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তড়িঘড়ি সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। আজ সন্দেশখালিতে যাবেন তিনি। এদিকে, আজই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে সন্দেশখালি অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপিও (BJP)। মোটের উপর সপ্তাহের প্রথম দিনেই ফের একবার চূড়ান্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির জোরালো ইঙ্গিত দ্বীপাঞ্চলে।
শেখ শাহজাহান (Sheik Shahjahan), শিবু হাজরারা (Shibu Hazra) বেপাত্তা। তবে গোটা সন্দেশখালি এখনও পুলিশি ঘেরাটোপে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সন্দেশখালির ৮টি পঞ্চায়েত (Panchayat) এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা (Section 144)। যে কোনও ধরনের জমায়েতে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গত কয়েকদিন সন্দেশখালিতে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছে বাম-বিজেপি প্রতিনিধি দল। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়াতে দেখা গিয়েছে দুই দলের নেতা-কর্মীদের। সন্দেশখালি-কাণ্ডে এলাকার প্রাক্তন সিপিএম (CPIM) বিধায়ক নিরাপদ সরদারকে (Nirapada Sarkar) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিনভর সন্দেশখালিতে টানটান উত্তেজনা থাকার জোরালো ইঙ্গিত। আজ একদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যাচ্ছেন সন্দেশখালিতে। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। অন্যদিকে, আজই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি দলের সন্দেশখালি অভিযান। বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার সন্দেশখালি বনধের সকাল থেকে তেমন প্রভাব না পড়লেও এলাকায় থমথমে ভাব।
সন্দেশখালিত আজ রাজ্যপাল ও বিজেপি বিধায়কদের সফর নিয়ে আশঙ্কায় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি এদিন বলেন, "আগের রাজ্যপালও তো যেতেন। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হতো। এবারের রাজ্যপালকে যেতে দেওয়া হবে কিনা জানি না। আজ আমাদের বিধায়করা অভিযান করছেন। জানি না তাঁরা যেতে পারবেন কিনা।"