Sandeshkhali Case CBI Prob: সন্দেসকালি কাণ্ডে একদিকে শেখ শাহজাহানের জেরা চলছে, অন্যদিকে তার বাড়িতে ফের তল্লাশি হয়েছে, আকুঞ্জিপাড়ার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু এতেই সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল! হদিশ মিলছে না সন্দেশখালির 'বাঘ' শাহজাহানের দু'টি মোবাইল ফোনের। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই দু'টি ফোনই রয়েছে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের আগে ৫৬ দিনের নানা প্রশ্নের সমাধান।
চলতি বছর ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। স্থানীয় হামলাকারীরা সকলেই শাহজাহানের অনুগামী বলে দাবি করা হয়। আদালতে ইডি দাবি করেছিল যে, ৫ জানুয়ারি ফোনে উস্কানি দিয়েই শাহজাহান আক্রমণ সংগঠিত করেছিল। ওইদিনের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ইডি আধিকারিকরা নিশ্চিত যে, সেদিন বাড়িতেই ছিল শাহজাহান।
আরও পড়ুন- Sandeshkhali: শাহজাহান-তদন্তে সিবিআই, রাতারাতি সন্দেশখালি থানা নিয়ে বড়় পদক্ষেপ পুলিশের
এরপর টানা টালবাহানা শেষে ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় ২৯ ফেব্রুয়ারি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরও দিন ছয়েক বাদ তাকে হাতে পায় সিবিআই। শাহজাহানকে হেফাজতে পেলেও সন্দেশখালির দোর্দদণ্ডপ্রতাপ বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার ফোন দু'টি উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশও জানিয়েছে, শাহজাহানের দু'টি মোবাইয়েলের একটিও তারা পায়নি।
শেখ শাহজাহানের ওই নিখোঁজ দু'টি মোবাইল পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন? সিবিআই সূত্রে খবর, ফোন দু'টি উদ্ধার করা গেলেই বোঝা যাবে যে, মাঝের ৫৬ দিন শাহজাহান কোথায় ছিলেন, ওই সময় সন্দেশখালির কোন কোন নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মত, ওই মোবাইলগুলিতেই রয়েছে একাধিক তথ্য, যা থেকে তদন্তের কাজ সহজ হতে পারে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইলে শেখ শাহজাহান ওই সময়কালে কাদের ফোন করেছিলেন সেই তালিকা মিলবে মোবাইল নেটওয়ার্কের সংস্থার কাছ থেকে। কিন্তু শাহজাহান কাদের সঙ্গে চ্যাট কি বিষয়ে চ্যাট করেছিলেন তা মোবাইল থেকেই জানা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও অ্যাপ মারফত শাহজাহান কারও সঙ্গে কথা বলেছেন কি না তাও বোঝা যাবে।
সিবিআই যখন শেখ শাহজাহানের ফোন হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্য়ান্ডেলে তাঁর দাবি, শাহজাহানের আইফোন থ্রি পুলিশই নিয়ে রেখেছিল এবং উচ্চপদস্থ অফিসারদের হাতে সেটা তুলে দেওয়া হয়েছিল। শাহজাহানের ফোন নাকি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পরামর্শ, 'শুভেন্দুর টুইট না করে প্রমাণ সহ সব তত্য আদালতে পেশ করা উচিত।'