Sandeshkhali Viral Video Part-2: ভোটের বঙ্গে উত্তাপ ছড়িয়েছে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও। বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তবে এই ভিডিওতে গঙ্গাধর যা বলেছেন তাতে অস্বস্তি বেড়েছে পদ্মশিবিরে। ভোট করাতে কী কী প্রয়োজন, সন্দেশখালিতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করার জন্য মহিলাদের কত টাকা করে দেওয়া হয়েছে সব প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ভিডিওতে গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গিয়েছে, প্রতি বুথের জন্য পাঁচ হাজার টাকার মদ প্রয়োজন। মোট তিনটি অঞ্চলে ৫০টি বুথ রয়েছে। গঙ্গাধরের হিসাবে, ২.৫ লক্ষ টাকার মদ প্রয়োজন ভোট করানোর জন্য। শুধু তাই নয়, কোন বুথে বেশি মদের প্রয়োজন সেটাও তিনি জানিয়েছেন ভিডিওতে। পাশাপাশি ৫০টি পিস্তলের দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ভাইরাল হয় সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম ভিডিওতে যেমন গঙ্গাধর কয়াল বলেছিলেন, এই পর্বেও তিনি বলছেন। যদিও তাঁর দাবি, ভিডিওটি বিকৃত। এর জন্য তিনি সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বের ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, যে মহিলারা সন্দেশখালিতে আন্দোলন করেছিলেন তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। তখনই তিনি বলেন, ভোট করাতে গেলে কী কী প্রয়োজন।
ভিডিওতে একজন তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ভোট পর্যন্ত গঙ্গাধরের কত মদ লাগবে। উত্তরে বিজেপি নেতা বলছেন, 'আদিবাসী এলাকায় বেশি মদ লাগে। তফসিলি এলাকায় একটু কম লাগে। তিনটি অঞ্চলে ৫০টি বুথ রয়েছে। সন্দেশখালিতে ১০টি রয়েছে। সেখানে বেশি মদ প্রয়োজন। এখানে তফসিলি জাতির বাস বেশি। মুসলিমরা সংখ্যায় ৩০০ জনের মতো।'
তারপরই সেই প্রশ্নকর্তা গঙ্গাধরকে আরও জিজ্ঞেস করেন, ভোট পর্যন্ত কত টাকা লাগবে তাঁর। এখন থেকে বাজেট না করলে শেষ মুহূর্তে সামাল দেওয়া যাবে না। তখন গঙ্গাধর উত্তরে বলেন, 'ওই বুথ প্রতি ৫ হাজার করে ধরুন।' অর্থাৎ ৫০টি বুথে খরচ পড়বে আড়াই লক্ষ টাকা। গঙ্গাধরের দাবি, ৩০ শতাংশ মহিলা এবং ৭০ শতাংশ পুরুষ মদ খাবেন। তার মধ্যে কি আন্দোলনকারী মহিলারাও রয়েছেন? উত্তর গঙ্গাধর বলেছেন, 'আন্দোলনকারী সব মহিলারা মদ্যপান করেন না।'
আরও পড়ুন Modi in Bengal: ‘সন্দেশখালিতে নতুন খেলা তৃণমূলের’, মারাত্মক অভিযোগ মোদীর!
ভিডিওতে অস্ত্রের প্রয়োজনের কথাও বলেছেন গঙ্গাধর। বলেছেন, 'কোরাকাটি এবং মণিপুরের জন্য অস্ত্র লাগবে। কোরাকাটির জন্য ৩০টি এবং মণিপুরের জন্য ২০টি। মোট ৫০টা বলেই চলবে। তবে সন্দেশাখালির জন্য প্রয়োজন নেই। কোরাকাটি আর মণিপুরের লোকরা অস্ত্র চালাতে অভ্যস্ত। কিন্তু সন্দেশখালিতে বিজেপির কেউ অস্ত্র চালাতে পারে না।' কার্তুজের হিসাবেও দিয়েছেন গঙ্গাধর। বলেছেন, 'পিস্তলপিছু ১২ রাউন্ড করে গুলি। ৩০টির জন্য সবমিলিয়ে ৩৬০ নাহলে ২৪০। ডবল না থাকলে মুশকিল।'
এদিকে, রবিবারই রাজ্যে ভোট প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে জগদ্দলে সভা করতে এসে মোদী স্টিং ভিডিও নিয়ে কথা না বললেও শুধু বলেছেন, 'সন্দেশখালি নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে তৃণমূল।'