Sandeshkhali TMC Leader Ajit Maity Detain: শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালি। এর মধ্যেই রবিবার বেড়মজুমে হরিনাম সংকীর্তনে খোল বাজাতে দেখা যায় মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। কিন্তু বেলা বাড়তেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। মন্ত্রী এলাকা ছাড়তেই স্থাানীয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। প্রাণভয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। এমনকী ঢুকেই ওই বাড়ির সদর দরজায় দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তিনি। ততক্ষণে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। অজিত মাইতির নাম ধরে হুলস্থূল কাণ্ড। খবর পেয়েই সেখানে আসে পুলিশ। ওই অবস্থা দেখে একদা প্রাতপশালী তৃণমূল নেতা তখন ভয়ে কাঁদতে শুরু করেছেন। দরজা বন্ধ রাখতে কাকুতি মিনতি করছেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এলাকা না ছাড়ার আর্জি করছেন।
পুলিশের শত আবেদনেও ওই বাড়ির বাইরে বেরতে রাজি ছিলেন না অজিত। তবে সন্ধ্যার দিকে জনরোষের আঁচ কিছুটা কমলে ওই তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে বার করতে তৎপর হয় পুলিশি। অবস্থা বুঝে অজিতকে বার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে আপাতত আটক করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিনাখাঁ থানায়। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ রয়েছে, যা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখবে পুলিশ। মূলত জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে এদিনই অজিতকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
সন্দেশখালির ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসক দল। তার মধ্যেই দলও শাহজাহানের শাগরেদ অজিত মাইতির পাশে নেই। স্পষ্ট করে দিয়েছেন মন্ক্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি এদিন সাফ বলে দেন যে, 'অন্যায় করলে তো রাগের বহিঃপ্রকাশ হবেই। আর যে অন্যায় করবে তার পাশে তৃণমূল নেই। শাস্তি হবেনই। উনি (অজিত মাইতি) কোনও কালেই অঞ্চল সভাপতি ছিলেন না। জয়েন্ট কনভেনর তো হলধর ও শক্তিদা।'
বাড়িতে শিঁটিয়ে থাকা অবস্থায় এদিন সংবাদ মাধ্যমেও মুখ খোলেন অজিত মাইতি। বলেন, 'আমি কোনও অন্যায় করনি। ২০১৯ সালে বিজেপি থেকে চাপে পড়ে তৃণমূলে এসেছিলাম। আমি পচা আলু হয়ে গেছি। আমার শাহজাহানদের সঙ্গে থাকাটা ভুল ছিল। মানুষের এত রাগ বুঝতে পারিনি। দোষ ওরা করেছে এখন রাগ আমার উপর এসে পড়ছে।'