Sandeshkhali: ভোট আবহে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সরগরম বাংলার রাজনীতি। মাস কয়েক আগেই সন্দেশখালির ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। যা নিয়ে মোদী থেকে আম বিজেপি নেতারাও তৃণমূল সরকারকে বিঁধছে। ঘটনার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টিং অপারেশনের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই কার্যত ঘৃতাহুতি পড়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে সে সন্দেশখালির বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, সন্দেশখালির সব ঘটনা ‘সাজানো’! তিনি ওই ভিডিওয় বলেন যে, 'আন্দোলনটা এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক ও দিক যাচ্ছে, গোটাটা দেখছে। শুভেন্দুর আমাদের উপরে আস্থা আছে। এই আন্দোলনকে থামানোর ক্ষমতা নেই কারও। শুভেন্দু এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।'
ওই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে গঙ্গাধরকে পাল্টা প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করছেন, শুভেন্দুদা তাঁর লোকদের দিয়ে টাকা পাঠালেন, মোবাইল পাঠালেন। সবরকমের সহায়তা করছেন। খালি হাতে তো কিছু হয় না?'
জবাবে গঙ্গাধর বলেন, 'না। খালি হাতে কিছু হবে না।' এই ভাইরাল ভিডিয়োয় সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
এরপর ফেসবুকে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখেন, 'কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দল রাজ্যকে বদনাম করছে। ইতিহাসে এমন নজির নেই। বিজেপির বিসর্জন করবেন বাংলার মানুষ।' তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়ো দেখে আমি বাকরুদ্ধ। বাংলা বিরোধী বিজেপি। তাদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে যেভাবে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করেছে তা প্রত্যেকের দেখা উচিত।'
গোটাটার নেপথ্যে তৃণমূলের 'ষড়যন্ত্র' খুঁজে পেলেও তেমনভাবে মুখ খোলেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তবে শোরগোল পড়তেই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সন্দেশখালির বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। দাবি করেছেন যে, 'ওই ভিডিও চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র করে বানানো হয়েছে। হাই টেকনোলজির মাধ্যমে তাঁর কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। আমি সিবিআইকে সব জানাবো।'