Sandeshkhali Viral Video: গিয়েছিলেন আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে। কিন্তু সে গুড়ে বালি! উল্টে তাঁকেই জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে সাতদিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত। মঙ্গলবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাম্পি।
Advertisment
উল্লেখ্য, মাম্পির বিরুদ্ধেই সন্দেশখালির মহিলাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন না দিয়ে তাঁকে ৭ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। যে ভিডিও ঘিরে সন্দেশখালিতে শোরগোল পড়েছে তার সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
সম্প্রতি কিছু মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন মাম্পিরা। তার পর তাতে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের মতো অভিযোগ লিখে থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল। এক মহিলা মহিলা মোর্চার নেত্রী মাম্পির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই মাম্পিকে তলব করে সন্দেশখালি থানার পুলিশ।
সন্দেশখালির মহিলার অভিযোগ ছিল, যখন জাতীয় মহিলা কমিশন সন্দেশখালিতে আসে তখন তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান মাম্পি। তার পর তাঁকে দিয়ে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার পর সাদা কাগজে লেখা হয়, ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু মহিলার দাবি, তিনি কাজ করে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তিনি করেননি। অভিযোগপত্রে তাঁর বয়ান বদল করা হয়েছে।
মহিলার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মাম্পিকে নোটিস পাঠায় পুলিশ। তার পর কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন মাম্পি। মঙ্গলবার জামিন চেয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে জামিন না দিয়ে ৭ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।