সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে শনিবার রায় ঘোষণা করল আলিপুর জেলা আদালত। দোষী সাব্যস্ত করা হল মূল অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে। খুন, গুরুতর আঘাত-সহ ৪টি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। এই মামলায় সোমবার সাজা ঘোষণা করে আদালত। ২০১১ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে এই বিষমদ কাণ্ডে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়।
Advertisment
২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ড ঘটে। বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৭৩ জনের। এই ঘটনায় মগরাহাট এবং উস্তি থানাতে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্বভার যায় সিআইডি-র হাতে। তদন্তে জানা যায়, যে চোলাই মদ খেয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেই চোলাই মদ বানাত কুখ্যাত ডন নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা।এই ঘটনা সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ড নামে পরিচিত। রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে মৃত্য হয়েছিল ১৭২ জনের। তাঁদের মধ্যে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল উস্তি থানায়। অভিযুক্ত ছিল ১২জন। দু’জন এখনও পলাতক। মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা ও তাঁর স্ত্রী-সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। চার্জশিট পেশ করা হয় ২০১২ সালে।
খোঁড়া বাদশা এবং বাকি অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি উস্তির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের দাবি, খোঁড়া বাদশাদের বানানো বিষাক্ত চোলাই খেয়ে উস্তির ভারীউড়ান সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মৃত্যু হয়েছিল একের পর এক। খোঁড়া বাদশাদের দাপটে মদের ঠেক চলত। যদিও সে সব অবশ্য এখন উঠে গিয়েছে। গ্রামের লোকই ঠেক ভেঙে দেন। তার পর থেকে পুলিশের নজরদারিও বাড়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন