পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে বেনজির কীর্তি গড়ে ফেললেন বছর ৬৫-এর এক 'তরুণ'। উলটো পথে হেঁটেই বৃদ্ধ সঞ্জিত কুমার দাস পৌঁছে গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগরে। ৪০ দিন আগে তিনি উলটো দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন দার্জিলিং থেকে। ৪০ দিন পর প্রায় ৯৩০ কিমি পথ অতিক্রম করে গঙ্গাসাগরে পৌঁছে যান তিনি।
Advertisment
গঙ্গাসাগরে পৌঁছোনর পর কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে পরিবেশ বাঁচানোর আর্তি জানান তিনি। কেন এই উলটো পথে হাঁটা? এ প্রশ্নের উত্তরে বছর সঞ্জিত দাস বলেন, "বর্তমান সময় থেকে যদি পিছিয়ে যাওয়া যায় তাহলে, দেখা যাবে আজ থেকে ৫০ অথবা ৬০ বছর আগে পরিবেশ আরও ভালো ছিল। তাই উলটো দিকে হাঁটার ভাবনা।" একটি আয়নাকে লুকিং গ্লাস হিসাবে ব্যবহার করে তিনি পিছন দিকে হাঁটতেন। চলার পথে তিনি একের পর এক গ্রাম শহর অতিক্রম করেছেন। কিন্তু কোথাও তিনি কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়েননি।
এভাবেই উলটো হেঁটে নয়া কীর্তি গড়েছেন বৃদ্ধ।
তাঁর এই অভিনব ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন সকলেই। চলার পথে অনেকেই তাঁকে সাহায্য করেছেন। সেজন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই দীর্ঘ ৪০ দিনে তিনি খেতেন রুটি, সবজি সহ হালকা খাবার যাতে শারীরিক কোনও সমস্যা না হয়।
এই উলটো হাঁটার কাজটা সহজ ছিল না একেবারেই। বার্ধক্যের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রস্তুত করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর কাছে। তবে সে সব কিছুকে দূরে সরিয়ে তিনি এখন জয় করেছেন সকলের মন, এটাই তাঁর সব থেকে বড় পাওনা। সাগরে আসার পর তিনি থেমে থাকতে চান না। আবারও নতুন কর্মসূচি নিয়ে আগামী সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তে চান বছর ৬৫-এর এই 'তরুণ'। এই কাজে সঞ্জিতবাবু পাশে পেয়েছেন তাঁর পরিবারকে।