/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/07/rajib-kumar.jpg)
রাজীব কুমার। ফোটো- টুইটার
চিটফান্ড তদন্তে রাজ্যের গড়া বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) সিজারলিস্টে বিভিন্ন নামীদামি সংস্থার ১৬টি মনিটর বাজেয়াপ্ত দেখানো হয়েছে, কিন্তু একটিও সিপিইউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) ছিল না সেই তালিকায়, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজীব কুমার মামলায় এমন তথ্যই তুলে ধরলেন সিবিআই-এর আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর। এদিকে, এবার থেকে এই মামলা 'ইন ক্যামেরা' অর্থাৎ রুদ্ধদ্বার এজলাসে হবে বলেও জানানো হয়েছে। দু'পক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই 'ইন ক্যামেরা'র নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মধুমিতা দত্ত।
রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই মামলার ভুল ব্যাখ্যা করে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এর ফলে নানা অসুবিধা হচ্ছে। তাই আদালতে শুনানি চলাকালীন তা 'ইন ক্যামেরা' করার আবেদন জানান তিনি। এই আবেদন শুনে বিচারপতি মধূমিত দত্ত বলেন, 'এটা উন্মুক্ত এজলাস (ওপেন কোর্ট), আমি কাউকে বের করে দিতে পারি না। একজন ভারতীয়র এখানে থাকার অধিকার আছে'। পরে সিবিআই-এর আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর ও মিলন মুখোপাধ্যায় উভয়েই দাঁড়িয়ে মামলাটি 'ইন ক্যামেরা' শুনানি করার আবেদন জানান। এরপরই বিচারপতি এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন- বৈশাখীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ শোভন-বান্ধবী
তবে এদিন রাজীব মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, রাজ্য সরকারের সিট যখন সারদার অফিসে হানা দিয়েছিল সেখান থেকে তারা কেবল মনিটর বাজেয়াপ্ত করেছিল। কোনও সিপিইউ বাজেয়াপ্ত করেনি। সিজারলিস্টে কোনও সিপিইউ নেই। অথচ কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য তো কেবল সিপিইউতেই থাকে, আর সেগুলিই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। পাশাপাশি, সারদার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির নথি চারটে ফাইলে ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। সেইসব ফাইলও সিজারলিস্টে দেখানো হয়নি বলে সিবিআইয়ের আইনজীবী উল্লেখ করেন। এমনকী সুদীপ্ত সেন ও দেবযানীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকেও তথ্য উদ্ধার না করেই সিট সেগুলি ফিরিয়ে দিয়েছিল বলে খবর। এদিন এসব তথ্যই তুলে ধরেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তবে যাবতীয় সওয়ালের শেষে রাজীব কুমারকে ফের একদিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত।