Advertisment

সারদার টাকা ফেরালেন শতাব্দী রায়

শতাব্দী বলেন, ‘‘বারবার ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছিল, তাই শান্তির জন্য টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নিলাম। পুরো টাকাটাই ফেরত দিলাম’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
satabdi roy, শতাব্দী রায়

শতাব্দী রায়। ছবি: টুইটার থেকে।

মিঠুন চক্রবর্তীর পর সারদাকাণ্ডে টাকা ফেরত দিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। ড্রাফটের মাধ্যমে ইডির কাছে টাকা ফেরত দিলেন অভিনেত্রী তথা বীরভূমের সাংসদ। টাকা ফেরতের কথা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন শতাব্দী রায়। এদিন শতাব্দী বলেন, ‘‘বারবার ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছিল, তাই শান্তির জন্য টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নিলাম। পুরো টাকাটাই ফেরত দিলাম’’। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই সারদাকাণ্ডে শতাব্দীকে সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এর আগে ইডি-র তলব প্রসঙ্গে শতাব্দী টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত মনস্থির করেছিলেন।

Advertisment

আরও পড়ুন: বৈশাখীই ব্ল্যাকমেল করছেন, শোভনের কোনও হাত নেই: রত্না

কী জানিয়েছেন শতাব্দী রায়?

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘আজ টাকা ফেরত দিলাম ইডিকে। রোজ রোজ যেভাবে ডাকছে, এই হেনস্থার শিকার হতে ভাল লাগছে না। সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমরা শিল্পী মানুষ। রাজনীতির মানুষ হিসেবে তো কাজ করানো হয়নি আমাদের। শিল্পী হিসেবে কাজ করানো হয়েছে। শান্তি দরকার, তাই টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নিলাম’’।

আরও পড়ুন: বৈশাখী ‘নতুন বউ’! শোভন কী বললেন দিলীপকে?

প্রসঙ্গত, সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে ইডিকে চিঠি লিখেছিলেন টলিউডের এই অভিনেত্রী। চিঠিতে বীরভূমের সাংসদ জানিয়েছিলেন, সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ৪২ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু টিডিএস কেটে তিনি পেয়েছিলেন ২৯ লক্ষ টাকা। সেই ২৯ লক্ষ টাকাই ইডির হাতে শতাব্দী তুলে দিতে চান। সংসদে অধিবেশন শেষের পরই ইডি দফতরে গিয়ে সেই টাকা ফেরত দিতে চান বলে চিঠিতে জানিয়েছিলেন শতাব্দী। এরপর ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছিলেন, “ওই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কোনও কথা হয়নি।” তবে শেষমেশ আজ টাকা ফেরত দিলেন শতাব্দী।

আরও পড়ুন: মুকুলের খেলা? দেবশ্রীকে কে নিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি দফতরে, রহস্যভেদ করলেন বৈশাখী!

উল্লেখ্য, সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই কার্যত ‘ভেঙে’ পড়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এ মামলায় নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, তাই তিনি টাকা ফেরাতে চান বলে সে সময় ইডিকে জানিয়েছিলেন মিঠুন। সেই মতো টাকাও ফেরত দেন মিঠুন। পাশাপাশি তদন্তকারীদের মিঠুন একথাও বলেছিলেন যে, সারদার বেআইনি ব্যবসার কথা আগে জানলে তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতেন না।

satabdi roy
Advertisment