দুর্নীতি ইস্যুতে চাঁচাছোলা বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। এবার পাল্টা দলের সাংসদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃমূলের আরেক সাংসদ। দল বিরোধী মন্তব্যের জেরে জহর সরকারকে সাসপেন্ড করার দাবি তুললেন তৃণমূলের লোকসভার বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। বললেন, 'ওঁর মতো আত্মকেন্দ্রীক, স্বার্থপর লোক দেখিনি।'
পার্থ, অনুব্রত জেলে। তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। মাঝে মধ্যেই তলব পড়ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের অন্যান্যদের। যা দেখে 'গা শিরশির করে' বলে সোমবারই বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। দাবি করেন, এসবের পর তাঁর পরিবার, বন্ধুদের থেকেও টিপ্পনী শুনতে হয়েছে তাঁকে। বলেছেন, 'রাজনীতির কায়দা আমি বুঝি না। আমার আবেদন থাকবে, যাঁরা ধরা পড়ছে, যাঁরা ধরা পড়তে পারে, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।'
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের অনুষ্ঠানে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এজলাসে ফাঁস করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে যায়। অস্বস্তি বাড়তে থাকে জোড়-ফুল শিবিরের। এরপরই জহরের বিরুদ্ধে চড়া মেজাজে মুখ খুলেছে তৃণমূলের আরেক সাংসদ সৌগত রায়।
কোনও রাখঢাক না করেই দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'সাহস থাকলে উনি সাংসদ পদ ছেড়ে দিন। আমরা উপনির্বাচনে অন্য প্রার্থীকে জেতাব। ওনার মতো আত্মকেন্দ্রীক, স্বার্থপর লোক দেখিনি। এঁরা কেবল রাজ্যসভার সাংসদ হয় মাইনে ও পেনশনের লোভে। উনি সাংসদ হওয়ার আগে তৃণমূলে ছিলেন না। আসার পরও কোনও মিছিলে হাঁটেননি। আমলা থাকাকালীন ওনাকে কোনও তৃণমূল কর্মীর জন্য কোনও উন্নতি করতে দেখিনি। আর পার্টি বিপদে পড়লেই বড় বড় কথা বলেন।'
আরও পড়ুন- মমতার কথাই মিলে গেল, কয়লা কাণ্ডে অভিষেককে তলব ইডি-র
এখানেই থামেননি সৌগতবাবু। তাঁর সংযোজন, 'শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জহর সরকারকে দল থেকে সাসপেন্ড করা উচিত। উনি গেলে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না, উল্টে লাভই হবে।'
জহর সরকার রাজ্যসভার তৃণমূল প্রার্থী হয়ে সাংসদ দাবি করেছিলেন, 'মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করব।' যার পাল্টা সৌগত রায় বলেছেন, 'মোদীর চোখে চোখ রেখে কথা বলার উনি কে? ওনাকে কে চেনে?'
সাংসদের মন্তব্যে তৃণমূলে তোলপাড়, জহরকে 'স্বার্থপর' বলে কড়া পদক্ষেপের দাবি সৌগতর
তৃণমূলের অবস্থা দেখে যা দেখে 'গা শিরশির করে' বলে সোমবারই বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।
Follow Us
দুর্নীতি ইস্যুতে চাঁচাছোলা বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। এবার পাল্টা দলের সাংসদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃমূলের আরেক সাংসদ। দল বিরোধী মন্তব্যের জেরে জহর সরকারকে সাসপেন্ড করার দাবি তুললেন তৃণমূলের লোকসভার বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। বললেন, 'ওঁর মতো আত্মকেন্দ্রীক, স্বার্থপর লোক দেখিনি।'
পার্থ, অনুব্রত জেলে। তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। মাঝে মধ্যেই তলব পড়ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের অন্যান্যদের। যা দেখে 'গা শিরশির করে' বলে সোমবারই বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। দাবি করেন, এসবের পর তাঁর পরিবার, বন্ধুদের থেকেও টিপ্পনী শুনতে হয়েছে তাঁকে। বলেছেন, 'রাজনীতির কায়দা আমি বুঝি না। আমার আবেদন থাকবে, যাঁরা ধরা পড়ছে, যাঁরা ধরা পড়তে পারে, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।'
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের অনুষ্ঠানে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এজলাসে ফাঁস করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে যায়। অস্বস্তি বাড়তে থাকে জোড়-ফুল শিবিরের। এরপরই জহরের বিরুদ্ধে চড়া মেজাজে মুখ খুলেছে তৃণমূলের আরেক সাংসদ সৌগত রায়।
কোনও রাখঢাক না করেই দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'সাহস থাকলে উনি সাংসদ পদ ছেড়ে দিন। আমরা উপনির্বাচনে অন্য প্রার্থীকে জেতাব। ওনার মতো আত্মকেন্দ্রীক, স্বার্থপর লোক দেখিনি। এঁরা কেবল রাজ্যসভার সাংসদ হয় মাইনে ও পেনশনের লোভে। উনি সাংসদ হওয়ার আগে তৃণমূলে ছিলেন না। আসার পরও কোনও মিছিলে হাঁটেননি। আমলা থাকাকালীন ওনাকে কোনও তৃণমূল কর্মীর জন্য কোনও উন্নতি করতে দেখিনি। আর পার্টি বিপদে পড়লেই বড় বড় কথা বলেন।'
আরও পড়ুন- মমতার কথাই মিলে গেল, কয়লা কাণ্ডে অভিষেককে তলব ইডি-র
এখানেই থামেননি সৌগতবাবু। তাঁর সংযোজন, 'শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জহর সরকারকে দল থেকে সাসপেন্ড করা উচিত। উনি গেলে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না, উল্টে লাভই হবে।'
জহর সরকার রাজ্যসভার তৃণমূল প্রার্থী হয়ে সাংসদ দাবি করেছিলেন, 'মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করব।' যার পাল্টা সৌগত রায় বলেছেন, 'মোদীর চোখে চোখ রেখে কথা বলার উনি কে? ওনাকে কে চেনে?'