Post-Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিট গঠনে কেন্দ্র, রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তিনটি পক্ষকেই বৃহস্পতিবার নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিনীত সারণের বেঞ্চ। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সরব বিজেপি। ইতিমধ্যে উপদ্রুত এলাকা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘুরে গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তার মধ্যেই এই অভিযোগের তদন্তে সিট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেন আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন। সেই মামলার শুনানিতে এদিন তিন পক্ষকেই নোটিশ পাঠিয়েছে আদালত।
ইতিমধ্যে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে একাধিক পরিবার ঘরছাড়া। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে সেই রিপোর্টে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার অর্থাৎ ২ জুলাই ধার্য করেছে হাইকোর্ট। এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে গিয়ে যাদবপুরে দুষ্কৃতী হামলার মুখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার এই অভিযোগ তুলেছেন কমিশনের সদস্যরা। যদিও কমিশনের সঙ্গে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয় এবং মহিলাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। এমনটাই পাল্টা দাবি তৃণমূলের। তবে সঠিক অভিযোগ যেটাই হোক, মঙ্গলবার দুপুরে দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুরের কেপিসি এলাকা। এই ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, যাদবপুরের কেপিসি এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কমিশনের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ঘরছাড়াদের একটা দল। কমিশন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় ৩০টির বেশি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই নিয়েও খোঁজখবর নিতে গিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তখনই নীলসঙ্ঘ এলাকায় কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা।
অপরদিকে, এই প্রসঙ্গে কমিশনের এক সদস্য জানান, ‘কলকাতা হাইকোর্ট যে কমিটি বানিয়েছে সেই কমিটির আমি সদস্য। হাইকোর্টের কাছে কিছু অভিযোগ ছিল, আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আমরা এখানে এসেছিলাম। আমরা দেখলাম ৪০টির বেশি ঘোরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেই পরিবার এখন ঘরছাড়া। সেই দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে, পুলিশের উপরেও হামলা চালিয়েছে। আমাদের মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের পরিস্থিতি যদি এমন হয়, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? আমরা স্থানীয় থানাকে, জেলাশাসককে অভিযোগ করেছি। কেউ এসে উপস্থিত হয়নি। আমাদের সঙ্গে যদি কেউ না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কে থাকবে? এটা খুব আফশোসের বিষয়।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন