সারদা-সহ ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল সিবিআিই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নির্দেশদান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত।
সিবিআই-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজীব কুমারের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চকে বলেন, ইতিমধ্যেই রাজীবকে ৪০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের 'মিডিয়া ট্রায়াল' চলছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাওয়ার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র রাজীব কুমারকে হেনস্থা করা। প্রসঙ্গত, বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং সঞ্জীব খান্না।
আরও পড়ুন: কেন রাজীবকে হেফাজতে নিয়ে জেরা, সিবিআইকে প্রমাণ দিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের আইনজীবী দাবি করেন, সিবিআই এই তদন্তে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার দুর্নীতির প্রেক্ষিতে গঠিত স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) প্রতিদিনের তদন্তের দায়িত্বে রাজীব ছিলেন না। তিনি কেবল এসটিএফের সামগ্রিক কার্যকলাপ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। ইন্দিরা বলেন, "দীর্ঘ চাকরিজীবনে রাজীব কুমার অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য ২০১৫ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছিলেন। অথচ ২০১৩ সালের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে," বলেন ইন্দিরা।
রাজীব কুমারের অপমানের দাবি অবশ্য কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী তথা ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই। হাওয়ায় গল্প তৈরি করা হচ্ছে যে, সিবিআই নাকি একজনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে চায়। কিন্তু তা সত্য নয়।"
দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আপাতত রায়দান স্থগিত রাখার কথা জানায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।