Advertisment

ঘুম কাড়ছে ভাঙন, ঘোড়ামারায় নদী-গর্ভে স্কুল

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জের। জলের তোড়ে সুন্দরবনের একাধিক নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। ঘোড়ামারায় নদী ভাঙন ঘুম কাড়ছে বাসিন্দাদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
School building is collapse down at hooghly river in ghoramara island

নদী-গর্ভে স্কুল ভবন।ছবি: মীনা মণ্ডল

আশঙ্কাই হল সত্যি। পূর্ণিমার কোটালে ফুলে-ফেঁপে ওঠা নদীর জল ছাপিয়ে জলমগ্ন সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন গ্রাম। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনও আতঙ্কবাড়াচ্ছে। গঙ্গাসাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপে আস্ত স্কুলবাড়ি তলিয়ে গেল নদীগর্ভে। এছাড়াও গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে সুন্দরবন এলাকার একাধিক নদীবাঁধে কোথাও ফাটল কোথাও ধস নেমেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস মেরামতির চেষ্টায় প্রশাসন।

Advertisment

নিম্নচাপের জেরে এমনিতেই টানা বৃষ্টি চলেছে উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। নিম্নচাপের সঙ্গে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এই জেলায় দাপট দেখিয়েছে পূর্ণিমার ভরা কোটাল। নিম্নচাপ-কোটালের জোড়া ফলায় বিদ্ধ সুন্দরবন। একাধিক এলাকায় নদী বাঁধে ধস। জলস্তর বেড়ে যাওয়ার বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে।

প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তাল নদী। জলের স্রোত প্রতি মুহূর্তে পাড় ভাঙছে। নদী পাড়ের এলাকাগুলি রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বুধবার বিকেলে গঙ্গাসাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপে ভয়াবহ আকার নেয় নদী ভাঙন। মুহূর্তে হুগলি নদীর গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে আস্ত একটি স্কুলবাড়ি। চোখের সামনে খাশিমারা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে দেখে শিউরে ওঠেন বাসিন্দারা।

publive-image
নদী গর্ভে স্কুলভবন তলিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি। ছবি: মীনা মণ্ডল

ঘোড়ামারা দ্বীপের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব প্রধান বলেন, 'এবার ভয়াবহ আকার নিয়েছে নদী ভাঙন। আতঙ্কে দ্বীপ ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছেন বহু মানুষ। আমি ও আমার মতো গ্রামের অনেকেই যে প্রাইমারি স্কুলটিতে পড়াশোনা করে বড় হয়েছি, সেই স্কুলই আজ নদী গর্ভে তলিয়ে গেল। শীঘ্রই এলাকায় নতুন স্কুল তৈরির জন্য সরকারি দফতরে আবেদন জানাব।'

আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে ধস বাঁধে, ফের ভাসবে গ্রাম? আতঙ্কে বাসিন্দারা

অন্যদিকে, গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টির জেরে গঙ্গাসাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা-সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি। পরিস্থিতি আঁচ করে আগেভাগেই এলাকার ফ্লাড সেন্টারগুলি খুলে দিয়েছিল প্রশাসন। সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাসিন্দাদের। ফ্লাড সেন্টারগুলির পাশাপাশি উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় স্কুলবাড়িগুলিতেও আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিবার। তবে দুর্যোগ কাটতেই অনেকে আবার ফিরছেন বাড়িতে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

South 24 Pgs school rainfall
Advertisment