করোনা আবহে এবছর হয়নি মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। অতিমারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে সংক্রমণ। এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ কবে খোলা হবে তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, পুজোর পর স্কুল খোলার ভাবনা রাজ্য সরকারের।
Advertisment
এদিন তিনি জানিয়েছেন, পুজোর পর পরিস্থিতি বুঝে স্কুল খোলা হবে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ তিনি উল্লেখ করেননি। বলেছেন, পুজোর পর একদিন অন্তর স্কুল খোলা হবে। পুজোর ছুটির পর পর্যায়ক্রমে স্কুল খোলা হবে। পুজোর পর কোন শ্রেণির পঠনপাঠন একদিন অন্তর শুরু করার কথা ভাবছে সরকার? তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজোর ছুটির পর স্কুল খোলার বিষয়টি এখনও ভাবনা চিন্তার স্তরে। মমতার মন্তব্য, ‘‘শিশু ভূমিষ্ঠই হল না আপনারা অন্নপ্রাশনের কথা ভাবতে শুরু করেছেন।’’
এদিন নবান্নে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব গোপালিকা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিজিৎবাবু সুদূর আমেরিকা থেকে সশরীরে এসেছেন বৈঠক করার জন্য। অভিজিৎবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘উৎসবের মরশুমের জন্য গত বছর বিস্তারিত বিবরণ তৈরি করা হয়েছিল। রাজ্য সরকার সেটা ভালভাবে প্রয়োগও করেছিল। তেমনই নিয়ম এ বারও জারি থাকবে আশা করছি।’’ সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, "কোভিড নিয়ন্ত্রণে বাংলায় অনেক কাজ হয়েছে।"
এদিন ফের কেন্দ্রের টিকা বণ্টন নীতি নিয়ে সরব হন মমতা। ক্ষোভ উগরে বলেন, "টিকা না থাকলে একসঙ্গে ১০ হাজার লোক এলে কী ভাবে টিকা দেব? পরপর সবাই পাবে। যে রকম টিকা পাব, তেমন দেব।" মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, "গুজরাতে জনসংখ্যা বাংলার প্রায় অর্ধেক, অথচ ওরা বেশি টিকা পেয়েছে।" প্রতিশ্রুতিমতো টিকার জোগান দিতে পারছে না কেন্দ্র, সেকথা বলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদও। অভিজিৎবাবুর মন্তব্য, "পর্যাপ্ত টিকা নেই দেশে।"