সমুদ্র দূষণ ঠেকাতে অভিনব আবিষ্কারে পথ দেখাচ্ছে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার। বিশেষ ধরনের তুলো সমুদ্রে মিশে থাকা তেল শুষে নেবে। ফলে কমবে সমুদ্র দূষণ।
মুম্বাইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের(বার্ক) বিজ্ঞানী ড শুভেন্দু রায় চৌধুরী এই অভাবনীয় আবিষ্কারের রূপকার। বাঙালি বিজ্ঞানীর এই অভিনব আবিষ্কারে খুশি পরিবেশপ্রেমীরা। এই কাজে যুক্ত আরেক বাঙালি, ড রায়চৌধুরীর অধীনস্থ তরুণ গবেষক অতনু ঝা।
তৈলবাহী জাহাজ ডুবে, কল কারখানা থেকে ক্ষতিকারক তেল বা তেল জাতীয় তরল জলের পড়ে। ফলে মাঝে মধ্যেই সমুদ্রের জলে ভেসে ওঠে তেল। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবেশের ভারসাম্য। বিপন্ন হয় সামুদ্রিক প্রাণী। এই দূষণ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন বিশ্বের তাবড় পরিবেশবিদ ও গবেষকরা।
সাধারণ তুলোকে পরিবর্তিত রূপ দিয়ে, এক বিশেষ ধরনের তুলো তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যা দিয়ে সুমুদ্রদূষণ রোধ সম্ভব। কিভাবে কাজ করবে এই তুলো? কেন এই আবিষ্কারকে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
এই বিশেষ ধরনের তুলো জলে মিশে থাকা তেল শোধন করতে সক্ষম। তবে শুধু তেলই নয়, তেলজাতীয় বিভিন্ন পদার্থ যেমন বেনজিন, হেক্সিন ক্লোরোফর্মম ইত্যাদিও শুষে নিতে পারে এইগুলো। ১ কেজি তুলো একবারে প্রায় ২৫ কেজি পর্যন্ত তেল শোষণ করতে পারে। ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের তৈরি এই তুলো বহুবার ব্যবহার সম্ভব। ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতির পেটেন্টও মঞ্জুর হয়েছে।
আগামীতে সমুদ্রদূষণ রোধে বাঙালি বিজ্ঞানীর তৈরি এই তুলো খুবই কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেই মনে করছেন ভারতের বিজ্ঞানী মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন