ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিডিও অফিসের সামনে হুলুস্থুল অবস্থা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে ধাক্কাধাক্কিতে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতেই গুরুতর আহত হন তিন মহিলা। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা বেশ গুরুতর। জামতলা হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
মে মাসের ২০ তারিখের ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। আমফান ত্রাণের ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু, সেই ত্রাণ বন্টন ঘিরেই শাসক দলের নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণের দুর্নীতিমুক্ত তালিকা তৈরি করতে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনপত্র জমা করার নির্দেশ দেন। সেই কাজই চলছিল কুলতলির বিডিও অফিসে।
ত্রাণের আবেদনের জন্য কুলতলির বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন ভোর থেকেই। ভিড় বাড়তেই ধৈর্যের বাঁধন ভাঙে। গরমের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে আবেদন জমা দিতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন আবেদনকারীরা। ফলে অরজগতার সৃষ্টি হয়। আহত হন তিন মহিলা। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকার কারণেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ আবেদনকারীদের।
আহত অসীমা হালদারের কথায়, 'গরমে সকাল থেকে বিডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত।'
কুলতলির বিডিও বিপ্রতীম বসাক বলেন, 'কেউ আহত হয়েছেন বলে জানা নেই, তবে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল বলে শুনেছি। অরাজগতা বাড়ার আগেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।'
এদিকে, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হল তা দেখতে কুলতলির দেউলবাড়িতে সরকারি আধিকারিকরা পৌঁছলে স্থানীয়রা তাঁদের ঘেরাও করেন। ত্রাণে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর-রের আশ্বাসে সেই ঘেরাও উঠে যায়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন