শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তরজা তুঙ্গে। রেলের আমন্ত্রণপত্রে নামই নেই মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই রাজ্যপাল, কলকাতার মেয়রেরও। শুধুামাত্র স্থানীয় সাংসদ-বিধায়কের নাম মেট্রোর আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই আচরণ প্রতিহিংসার রাজনীতির সামিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। 'জনস্বার্থে হওয়া প্রকল্পে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা', পাল্টা অভিযোগে সরব বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও।
Advertisment
বহু আকাঙ্খিত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ রুটের শুভ উদ্বোধন আজ। সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির হাত ধরে নবনির্মিত শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের গ্র্যান্ড ওপেনিং। তবে আজ শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ রুটের মেট্রো ও শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্বোধন হলেও এই রুটে যাত্রী পরিষেবা চালু হবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটের ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত লাইনের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
রেলের এই অনুষ্ঠানে ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে নামই নেই মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সোমবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয়। রেলের এই তৎপরতাকে কোনওভাবেই আমন্ত্রণ জানানোর একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করেন না কুণাল।
বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। তাঁর কথায়, ''বাংলার রাজনীতি ও উন্নয়নের সঙ্গে ওঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে একটি কার্ড দেওয়া হয়। এর নাম আমন্ত্রণ? এই মেট্রো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই অবদান, এটা তাঁরই ভাবনা। গোটা কাজটার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা রয়েছে।''
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের তরফে সোমবার শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ মেট্রোর উদ্বোধনে ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে নাম রয়েছে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। তবে খোদ মুখ্যমন্ত্রীরই রেলের ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে নাম না থাকায় তাঁরা যাবেন কিনা তা নিয়ে ঘোর সংশয় রয়েছে।