section144 in Sandeshkhali: ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই সন্দেশখালির একাংশে ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। মূলত অশান্তি ঠেকাতেই জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ।
গতকাল শেষ দফার ভোট পর্বের দফায় দফায় হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির বিস্তৃর্ণ অংশে। আর আজ রবিবার সকাল থেকেই ন্যাজাটের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ভোট গণনার দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে।
ভোটের দিন অভিযোগ পালটা অভিযোগে দিনভর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আক্রান্ত হয় শাসক-বিরোধী দুই গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা। এদিকে ভোটের দিন অশান্তির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগও।
গতকাল ভোট পর্ব চলাকালীন দফায় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় সন্দেশখালিতে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস কিছুই বাকী ছিল না। এরপর জায়গায় জায়গায় অবরোধ শুরু হয়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে চুচুরা মোড় যেখানে বাসন্তী হাইওয়ের উপর দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধ। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা।
রবিবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির আগরহাটির মণ্ডলপাড়া গ্রাম। ভোটের দিন গ্রামে রীতিমতো জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ চলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ গ্রামের এক যুবককে গ্রেফতার নিয়ে যায়। কারণ জানতে চাইলে গ্রামবাসীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতেই আহত হন গ্রামের বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন : < Lok Sabha Election 2024: বাংলা নিয়ে জমাটি Exit Poll ঘিরে চর্চা সীমাহীন! শেষমেশ মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী >
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শেখ শাজাহান ঘনিষ্ঠ কুতুবউদ্দিন মোল্লার নামে রাজবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনরকমের ব্যাবস্থা নেয় নি। ভোটের দিন সেই যুবকই গ্রামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদ করাতেই গ্রামের এক নিরীহ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
হামলার ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। আর যাতে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ঘটনার পর থেকে রীতিমত এক উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ভোটের দিন কার্যত পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অশান্ত সন্দেশখালিতে কেন শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে পারল না নির্বাচন কমিশন। বিপূল সংখ্যায় বাহিনী থাকার পরও কেন দফায় দফায় অশান্তি ছড়াল সন্দেশখালিতে উঠেছে সেই প্রশ্নও।