শিলং থেকে ফিরেই নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন সাংবাদিক এবং তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। চিট ফান্ড কাণ্ডের তদন্তে সহযোগিতা করায় তাঁকে ‘টার্গেট’ করা হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই নিরাপত্তার দাবি জানালেন রাজ্যসভার এই প্রাক্তন সদস্য। কুণালের আবেদনে সায় দিয়ে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশকে গতকাল নির্দেশ দিয়েছে বারাসাত আদালত।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কুণাল বলেন, "এই মুহূর্তে তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকে এগিয়েছে। বহু প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। যে কোনো কারোর টার্গেট হতে পারি আমি। তাই নিরাপত্তা চাইলাম।" কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "ওঁর নিরাপত্তার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম আদালতে। নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজির অফিসকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।"
আরও পড়ুন: রাজীব কুমার রাতে ফোন করেছেন, বিস্ফোরক অভিযোগ কুণাল ঘোষের
উল্লেখ্য, গত রবি ও সোমবার চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে কুণাল ঘোষকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পরে শিলং থেকে কলকাতায় ফিরে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কুণাল। মঙ্গলবার শিলং থেকে ফেরার পর কলকাতা বিমানবন্দরে কুণাল অভিযোগ করেন, "আমি সিবিআই-কে লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রথম, ১০ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) এবং এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) আমাদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু এই তদন্তে তাঁরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী, তাই সে বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে সেদিন রাতেই সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে রাজীব কুমার ওই অফিসারদের কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।"
আরও পড়ুন: বয়ান রেকর্ড শেষ, কলকাতা ফিরলেন রাজীব কুমার
এদিকে, টানা পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সন্ধেয় শিলং থেকে কলকাতায় ফিরেছেন নগরপাল। এ প্রসঙ্গে এক সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত রাজীব কুমারের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ করা হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উনি অবমাননার নোটিসের জবাব দেবেন সুপ্রিম কোর্টে। তার প্রস্তুতির জন্যই রাজীব ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত 'ব্রেক' নিতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমার, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ও মুখ্যসচিব মলয় দে'কে আদালত অবমাননার নোটিস ধরিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে এর জবাব দিতে হবে। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে, ওই তিনজনকেই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন, অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি, আদালতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।
Read the full story in English