গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। যদিও সেই আর্জি কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে। আবেদন জানিয়ে মামলা হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। তাই শুনানি যাতে একতরফা না হয় তাই আগেভাগেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে।
সায়গলের নামে, বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি ইডি-র। এরপরই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন সায়গল। তাঁকে জেরা করে গরু পাচার সংক্রান্ত অনেক তথ্য ইতিমধ্যেই মিলেছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর। ফলে অনুব্রত প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করলে গরু পাচারকাণ্ডে বহু তথ্য বেরতে পারে বলে মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডি গরু পাচার মামলার যে তদন্ত করছে, তা মূলত দিল্লিতে ইডি-র হেডকোয়ার্টার থেকেই হচ্ছে। তাই হাইকোর্টের রায়ের পর কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে নেওয়া হবে বলেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর।
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। কিন্তু পদক্ষেপ বাস্তবায়ণে শুরুতে আসানসোল আদালতে ধাক্কাখায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির কোনও মামলা আসানসোল আদালতে না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা সায়গলকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে? সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক।
এরপর ইডি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এ বিষয়ে জরুরি শুনানির আবেদন খারিজ করলেও মঙ্গলবার মামলাটি শোনেন বিচারপতি। কিন্তু সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আর্জিতে ধাক্কা খেতে হয়। বিচারপতি জানতে চান যে, দিল্লি নিয়ে গিয়ে সায়গলকে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? শেষে তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি।