Advertisment

উন্মাদনার সুনামি তুলছে 'হাওয়াই চটি'! অনন্য উদ্যোগের কারণ জানলে অবাক হবেন!

Travel: যদিও ব্যতিক্রমী এই তৎপরতা সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে। পর্যটকদের আনন্দ দিতেই এমন তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। অল্পদিনেই এই উদ্যোগ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও এই অনন্য সাধারণ উদ্যোগের প্রশংসা করছেন। তবে কীর্তি ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। তবে বিতর্ক যাই থাক, এমন তৎপরতায় পর্যটকের দল কিন্ত বেশ খুশি।

IE Bangla Web Desk এবং Nilotpal Sil
New Update
Selfie Point at Dooars Fun City Banarhat

Travel: বেড়াতে গিয়ে এমন ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার চুটিয়ে মজা নিচ্ছেন পর্যটকেরা।

Selfie Point: ঠিক যেন হাওয়াই চটি আর রং নীল-সাদা। এই 'হাওয়াই চটি' এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাওয়াই চটি সাধারণ জীবনে পথ চলার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রয়োজনীয় হলেও রাজনৈতিক আঙিনায় এর গুরুত্ব এখন 'অপরিসীম'। তবে নীল-সাদা রঙের এই হাওয়াই চটির গুরুত্ব বেড়েছে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৌজন্যেই। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের নীল-সাদা হাওয়াই চটি নিয়ে নানা কৌতুকও প্রকাশ্যে এসেছে বিভিন্ন সময়ে। তবে এবার নজর কেড়েছে ডুয়ার্স (Dooars) ফান সিটির (Fun City) এক সেলফি পয়েন্ট (Selfie Point)। সেখানে তৈরি করা হয়েছে সিমেন্ট- বালি-পাথর দিয়ে একটি বিশালাকার নীল-সাদা হাওয়াই চটি। সেই চটি দেখতেই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকেরা (Tourists)। তবে নীল, সাদা এই হাওয়াই চটি কার? তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থাকতেই পারে।

Advertisment

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্লোগান উঠেছিল, 'যতই করো ছোটাছুটি, নবান্নে ওই হাওয়াই চটি।' ফলাফল অবশ্য তাই হয়েছিল। পাহাড় থেকে সমতল, সর্বত্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাওয়াই চটি পড়েই হাঁটতে দেখা যায়। এমনকী বিদেশের মাটিতেও তাঁর পায়ে একাধিকবার দেখা গিয়েছে হাওয়াই চটি।

বেশ বড় আকারের এক নীল-সাদা হাওয়াই চটি দেখে অনেকেই মশকরা করে বলছেন 'মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চটি'। আর এই হাওয়াই চটিতে নিজস্বী (Selfie) নিতে হিড়িক লেগেছে পর্যটকদের। ডুয়ার্সের বানারহাটের ডায়না নদী (Diana River) সংলগ্ন এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগেই ওই নিজস্বী পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এখানে এলে দেখা যাবে, বিশাল এক হাওয়াই চটি গড়ে তোলা হয়েছে। রং সেই নীল–সাদা। এখানে একটি হাওয়াই চটিকে কেন্দ্র করেই ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা।

আরও পড়ুন- Mimi Chakraborty: কাছ থেকে দেখেছেন দেবকে, সবদিক ভেবে ‘ইস্পাতকঠিন’ সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন মিমি!

এটা রীতিমতো জনপ্রিয় সেলফি পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। শুধু সেলফি তোলাই নয়, কেউ কেউ মশকরা করে রিলস (Reels) বানিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন নেট দুনিয়ায় (Social Media)। ফলে এই হাওয়াই চটির দৌলতেই দেখতেই ডুয়ার্সের বানারহাট এলাকা ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে পর্যটন মানচিত্রে। অনেকে বলেছেন, আইডিয়াটা দারুণ।

বানারহাটের এই বেসরকারি রিসর্টে সেখানে যেমন শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন সামগ্রী, তেমনই রয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য জায়গা। পর্যটকরাও বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চটিকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রেলস্টেশনে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে সরকারি উদ্যোগে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সেলফি পয়েন্ট বানানো হয়েছে। এখানেও মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান দিতে বেসরকারি উদ্যোগে এমন সেলফি পয়েন্ট বনানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- Jaldapara: এগল্প সিনেমাকেও হার মানাবে! সঙ্গিনীর মন পেতে ‘রোমিও মুডে’ লঙ্কাকাণ্ড দাঁতালের

ডুয়ার্স ফান সিটির কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমানের কথায়, ‘‌এটা বিশেষ কোনও চিন্তাভাবনা থেকে তৈরি করা হয়নি।’‌ যদিও অনেক পর্যটকের মত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চটিকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। তবে তর্ক-বিতর্ক যা-ই হোক না কেন, সেই চটি এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

অন্যদিকে, বরাবরই ডুয়ার্সের চিলাপাতাও সেলফির জন্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের তরফে বন দফতরের জমিতে এই সেলফি পয়েন্টে তৈরি করা হয়েছে। চিলাপাতা মোড় থেকে পশ্চিমদিকে বানিয়া বস্তি যেতে বাঁদিকে শালবাগানে গড়ে তোলা হয়েছে এই সেলফি পয়েন্ট। লেখা রয়েছে ‘আই লাভ চিলাপাতা’ (I Love Chilapata)। 

আরও পড়ুন- Farming: বেকাররা এখবর আগে পড়ুন! অল্প দিনেই উপচে পড়া আয়, এব্যবসায় পাশে দাঁড়াচ্ছে সরকার

Mamata Banerjee north bengal Dooars Selfie
Advertisment