তদন্তে গড়িমশির অভিযোগে সিপিএমের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান। সিজিও-র সামনে মঞ্চ বেঁধে দুর্নীতি ইস্যুতে ফের একবার রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা সিপিএমের। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে ঢিলেমি-অভিযোগ তুলে ফের একবার বিজেপি-তৃণমূল আঁতাত তত্ত্ব সামনে আনলেন সিপিএম নেতারা। একইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে আরও এক নতুন দুর্নীতির অভিযোগ শোনা গেল সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মুখে। যা ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে?
Advertisment
অভিষেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন কী অভিযোগ তুললেন সেলিম?
"রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর, সবচেয়ে বড় টাকা পাচারকারী শুধু মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো নয়। এখন প্রধানমন্ত্রীরও ভাইপো হওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিষেকের দুর্নীতির মধ্যে আবগারি দুর্নীতিও রয়েছে। বাংলায় মদ বিক্রিতেও টাকা পৌঁছোয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে।"
Advertisment
এখানেই থেমে না থেকে সেলিম এদিন আর যা যা বললেন…
"ঘুষ নিয়ে যারা চাকরি দিয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। অপরাধীকে শস্তি দিতেই হবে। কালীঘাটের ঠিকানা যারা কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছে না..তাদের বলছি সজাগ হোন। রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৃণমূলের দুর্নীতি ধরতে গিয়ে এত গড়িসমশি কেন? কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিজেপির প্রভাবে কাজ করছে।"
"দিল্লিতে নাটক ধরা পড়ে গেছে। এদেশের বড়লোকেদের কোটি কোটি টাকা। এতদিন ওরা বিজেপির সঙ্গে ছিল। এবার বুঝতে পারছে ওরা হারবে। এবার বিভিন্ন রাজ্যে কাউকে না কাউকে মুখ করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ওদের প্রভুরা তৃণমূলকে বাঁচানোর দায় নিয়েছে। আমার কোনও বাধা মানছি না।"
উল্লেখ্য, আজ বিধাননগরের হাডকো মোড় থেকে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান শুরু করে সিপিএম। শহর কলকাতা ছাড়াও লাগায়ো এলাকা থেকে দলে দলে সিপিমের কর্মী-সমর্থকরা সামিল হয়েছিলেন এই অভিযানে।