"ভাইপোকে বাঁচাতে তৃণমূলের সব বদগুলোকে বলির পাঁঠা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কালীঘাটের মা কালী সব বদ গুলোর মুণ্ড না নিয়ে খান্ত হবেন না।" মঙ্গলবার বীরভূমের মাড়গ্রামে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা রাজ্যে 'লুঠ' করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ সেলিমের।
এদিন মাড়গ্রামে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন সেলিম। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করে সেলিম বলেন, "চোরের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে বাঁচতে এবং ভাইপোকে বাঁচাতে সকলকে বলির পাঁঠা করছেন। প্রথমে আনিস খান হত্যায় ধৃত পুলিশকর্মীরা বলেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন। দু'দিন পর অনুব্রত মণ্ডলও বলবেন। প্রথমে ভেবেছিলেন আরএসএস, বিজেপিকে ধরে অনুব্রতকে বাঁচাবেন। সেই সেটিং না হওয়ায় অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে তাঁর জেলে বন্দি থাকার ব্যবস্থা পাকা করেছেন। আগামীদিনে আরও চোরদের জেলে ঢোকানো হবে।"
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের 'উন্নয়ন বাহিনী' মুখ ঢেকে সন্ত্রাস চালিয়েছিল বলে তোপ দেগে সেলিম বলেন, ''যাঁরা মুখে ঢেকেছিল সেই কিষেণজি, ছত্রধর মাহাতো এবং তৃণমূল নেতাদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। ফলে এখন আর কেউ মুখে ঢেকে যৌথভাবে সন্ত্রাস চালাতে পারবে না। রাজ্যের গণতন্ত্রকে নিধন করা হয়েছে। মানুষের ঐক্য ভেঙেছে। কিন্তু মানুষ পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আর তাঁদের ঐক্য ভাঙা যাবে না। বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে ঐক্য ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন তা হবে না। চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের হকের চাকরির দাবিতে আমরাও তাঁদের পাশে থেকে সাহায্য করে যাচ্ছি। সল্টলেকে টেট উত্তীর্ণদের পাশেও আমরা রয়েছি।"
আরও পড়ুন- অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ, চাকরি যাচ্ছে না ২৬৯ জনের
বিজেপির বরাবরের অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকা 'লুঠ' হয় রাজ্যে। সেই অভিযোগ এবার সেলিমের গলাতেও। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য পাঠানো টাকা এরাজ্যে 'লুঠ' করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের। তবে এক্ষেত্রে সেলিমের অভিযোগ বিজেপির চেয়ে খানিকটা হলেও ভিন্ন। সিপিএম নেতার দাবি, ''কেন্দ্র সব জেনেও চুপ রয়েছে। কোনও পদক্ষেপ তারা করেনি। কারণ, এই লুঠের বখরা তারাও পায়।''
আরও পড়ুন- রাস্তায় টেট উত্তীর্ণরা, মুখ খুলতে নারাজ মমতা, বললেন- ‘আদালতকে জিজ্ঞাসা করো’