বেশ কয়েক বছর আগে চপশিল্পে জোর দিতে বলেছিলেন যুব সমাজকে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের বাড়িতে বসে না থেকে চপের দোকান খুলে রোজগারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এটাও তো একটা শিল্প। যা পরে বাংলার রাজনীতিতে চপশিল্প কটাক্ষে পরিণত হয়। লক্ষ্মীবারে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বিকল্প উপার্জনের পথ। এবার চা-ঝালমুড়ি-ঘুগনির ব্যবসা করতে বললেন মমতা।
Advertisment
এই চপশিল্প বিরোধীদের কাছে টিকাটিপ্পনীর বিষয় হলেও বেশ কয়েকজন শিক্ষিত পড়ুয়া এই চপশিল্প নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিস জমা দিয়েছেন। রায়গঞ্জের এক পড়ুয়া গবেষণা পত্রে দেখিয়েছিলেন কীভাবে তেলেভাজা বিক্রি করে মানুষের উপার্জন বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ফের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন উৎকর্ষ বাংলার অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, চা বিক্রি দিয়ে শুরু করে কী ভাবে উপার্জনের পরিসর বড় করা যায়। তিনি বলেন, "আমি বলেছিলাম বলে অনেকে আমাকে টোন টিটকিরি করে। কিন্তু এটাই বাস্তব। এক হাজার টাকা জোগাড় করুন। একটা কেটলি কিনুন। কয়েকটা মাটির ভাঁড় কিনুন। দেখবেন কেমন চা বিক্রি হয়। তার পর কয়েকদিন যাওয়ার পর মা-কে বলুন একটি ঘুগনি করেত দিতে, একটু আলুর দম করে দিতে। এই তো পুজো আসছে সামনে। দেখবেন, লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। আজকাল এত বিক্রি আছে। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। একটু খেটে খেতে হবে, শরীরে নাম মহাশয়।"
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী পুজোর সময়ে রোজগারের পথ বাতলে দিয়েছেন। বলেছেন, "পুজোর সময় কৌটো নিয়ে বেরোন। তাতে একটু বাদাম, ছোলা ছড়িয়ে দিন। গ্রামে অনেক পাতা পাওয়া যায়। সেই পাতায় একটা কাঠি গুঁজে দিলেই ঠোঙা হয়ে যাবে। ঝালমুড়ি বিক্রি করে দেখুন কেমন রোজগার হয়। একটু বুদ্ধি খরচ করলেই অনেক কিছু করা যায়।"
তবে পড়ুয়াদের সতর্কও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, "অনেকে মনোবল ভেঙে দিতে বলবে, তুই এই করছিস!" তখন আপনি বলুন, "হ্যাঁ গো! আমি এই করছি। এই করেই আমি কোটিপতি হব একদিন।"