প্রয়াত বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা কেশরী নাথ ত্রিপাঠি। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে রবিবার ভোর ৫টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। উত্তর প্রদেশ বিধানসভার তিনবারের স্পিকারকে গত ডিসেম্বরেই একটি হাত ভেঙে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট-এর সমস্যা নিয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়াও বার্ধক্যজনিত কিছু সাধারণ অসুস্থতা ছিল তাঁর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর, প্রবীণ এই বিজেপি নেতাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, সেখানেই রবিবার ভোররাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতবছরই দুবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি হন তিনি। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ও ফেরেন।
প্রবীণ বিজেপি নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “শ্রী কেশরী নাথ ত্রিপাঠী তাঁর সেবা এবং বুদ্ধির জন্য সর্বদা সম্মানিত হয়েছেন। তিনি সাংবিধানিক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। তিনি উত্তরপ্রদেশ বিজেপির জন্মলগ্ন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং রাজ্যের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত ও ব্যাথিত। তাঁর পরিবা্রের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। ওম শান্তি!”
কেশরী নাথ ত্রিপাঠী, ১৯৩৪ সালের ১০ই নভেম্বর এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বিহার, মেঘালয় এবং মিজোরামের রাজ্যপাল হিসাবে অল্প সময়ের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। তিনি উত্তরপ্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতিও ছিলেন।
তিনি ৬বার উত্তর প্রদেশ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন। রাজনীতি ছাড়াও কেশরী নাথ ত্রিপাঠি হলেন এলাহবাদ হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি। অন্যদিকে তিনি লেখক ও কবিও। তাঁর লেখা হিন্দি ও ইংরাজিতে অনেক বই প্রকাশ হয়েছে।