সেবক-রংপো রেল প্রকল্পে খনন কার্য চালানোর সময় মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে কালিম্পং জেলার কালিখোলা এলাকায়। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রেলপথ নির্মান কাজে একের পর এক মাটি চাপা পড়ে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় পরিকাঠামোগত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী সংস্থার বিরুদ্ধে। দুই শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে রেল।
২০২২ এই সেবক রংপো সুড়ঙ্গ পথে রেল চলাচল শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় রেল। তাঁর আগেই পাহাড় কেটে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে রেলপথ নির্মানের কাজ। আর এই রেলপথ নির্মানের খনন কাজ চালাতে গিয়ে রবিবার মধ্যরাতে মাটিচাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। জানাগেছে কালিম্পং জেলার কালিখোলায় সেবক-রংপোর সেতুর পিলার নির্মাণের জন্য খনন কাজ চলছিল। মাটি খুড়তে নীচে নেমেছিলেন ঝাড়খন্ডের গিরিডি এলাকার দুই শ্রমিক সন্তোষ রায় (৪০) এবং কারু ওঁরাও (৩৭)।
খননকাজের সময় পাহাড়ের ওপর থেকে এই দুই শ্রমিকের ওপর মাটি বড়বড় পাথর ধ্বসে পড়ে। ধ্বসে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় কর্তব্যরত ওই দুই শ্রমিক। তড়িঘড়ি এই দু'জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গ্রামীন হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক দু'জনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এরপরে ময়না তদন্তের জন্য দেহদুটিকে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে।
চলতি বছরের ১৮ জুন সেবক রেলপথ নির্মানে খনন কার্য চালানোর সময় পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল নরেশ সোরেন ও সালখু মুর্মু নামে দুই শ্রমিকের। ফের একইভাবে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেবক-রংপো রেলপথ নির্মানে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় পরিকাঠামোগত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী সংস্থার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিম্পং জেলা পুলিশ ও ভারতীয় রেল।
সেবক থেকে রংপো রেলপথ নির্মাণে উদ্যোগী উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ২০২০ সালে ওই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ওই রেলপথ নির্মাণের ৭০ শতাংশে ১৪ টি সুড়ঙ্গ-সহ দশটির বেশি সেতু রয়েছে। মোট ৪৪ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৪১ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গ ও সাড়ে ৩ কিলোমিটার প্রতিবেশী সিকিমের অধীনে রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন