Advertisment

পুলিশ খুনে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাত অভিযুক্তের

গত বুধবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। অসীমবাবুকে খুনের পাশাপাশি তাঁর ১৯ বছর বয়সী ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগও ছিল ওই সাতজনের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কলকাতা পুলিশের কর্মী অসীম দাম খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল সাতজন অভিযুক্তের। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তাপসকুমার মিত্রের অধীনে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষণা করা হয়। গত বুধবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। অসীমবাবুকে খুনের পাশাপাশি তাঁর ১৯ বছর বয়সী ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগও ছিল ওই সাতজনের বিরুদ্ধে। ওই সাতজন, অর্থাৎ অভিজিৎ ঘোষ, বিশ্বজিৎ ঘোষ, পিন্টু দত্ত, দেবু মুখোপাধ্যায়, বাটু মজুমদার, কুন্তল চক্রবর্তী এবং তপন চন্দ্র, প্রত্যেকেই বিমানবন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা।

Advertisment

আরও পড়ুন: দু’মাসের জন্য খুলল শবরীমালা মন্দির, প্রহর গুনছে কেরালা

২০১২ সালের ৮ মার্চ দোলের দিন অসীমবাবুকে হত্যা করা হয়। সেদিন বিমানবন্দর থানার বিশরপাড়ায় অসীমবাবুর বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় মত্ত অবস্থায় তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক দল যুবক। তারা অসীমবাবুর এক আত্মীয়ার সম্ভ্রমহানি করে। প্রতিবাদ করায় মার খেতে হয় ১৮ জন মহিলাকে। অসীমবাবু ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের রক্ষা করেন। এরপর চলে যায় ওই দুষ্কৃতিরা, তবে ফের ফিরে আসে ধারালো অস্ত্র এবং হকি স্টিক দিয়ে, এবং অসীমবাবুকে টেনে বাইরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে আধমরা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে তিন দিন পরে মারা যান তিনি। সিআইডি মামলাটি হাতে নিয়ে চার্জশিট জমা দেয়।

তবে এই সাজায় খুশি নন মৃতের পরিবার। অসীমবাবুর ভাগ্নি বলেন, "ওই সাতজন আমার মামাকে খুন করেছে, আমার পরিবারকেও শেষ করে দিয়েছে, আমি ওদের ফাঁসি দেখতে চেয়েছিলাম।"

kolkata police
Advertisment