Post Poll Violence: কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপি সংখ্যালঘু মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল গঠন করেছে বিজেপি রাজ্য-নেতৃত্ব। শনিবার নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে মাথাভাঙায় পৌঁছেছেন বিজেপির ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ফাল্গুণী পাত্র, শিখা চট্টোপাধ্যায়, মালতী রাভা রায়, শশী অগ্নিহোত্রী, মাফুজা খাতুন ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়। এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ পুলিশ সুপার অফিসের সামনে ধর্ণাঅবস্থানে বসেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে থেকেই পার্কস্ট্রিট, হাঁসখালি কাণ্ডের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, 'আপনি আমাদের জন্য লজ্জা। সংখ্যালঘুদের লজ্জা বাংলার এই মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাত বিজেপি করাটা এখন পাপ'।
কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির সংখ্যালঘু মহিলা সদস্যকে নগ্ন করে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য বিজেপি তরফে তড়িঘড়ি গড়া হয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি। শুক্রবার সাত সদস্যের নাম ঘোষণা করেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ঠিক একদিনের মাথাতেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা মাথাভাঙায় পৌঁছেছেন। এদিন তারা নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে কথা বলবেন। নেতৃত্বে রয়েছে মহিলা মোর্চা সম্পাদক তথা বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ঘটনার বিষয়ে বিশদে জেনে কমিটি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটি রিপোর্ট দেবে।
আরও পড়ুন : < Mamata-CJI Meet: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মঞ্চ ভাগ মমতার, বিচার বিভাগের প্রতি কী বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর? >
পাশাপাশি গোটা ঘটনা নিয়ে সংখ্যালঘু কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি লিখে তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির অভিযোগ, নির্যাতনের পর নির্যাতিতা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। পরে চাপের মুখে লিখিত অভিযোগের পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।