Bus Accident In Odisha: ওডিশার জাজপুরের বারাবাটিতে মঙ্গলবার বাস দুর্ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের চার জন নিহত হয়েছেন। ফ্লাইওভার থেকে বাসটি পড়ে গিয়েই এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভুপতিনগর থানার উড়উড়ি গ্রামের উত্তম মাইতি, এগরা থানার দুবদা অঞ্চলের বাসিন্দা অচিন্ত মাইতি, চণ্ডিপুরের মলয় ঘোষ, ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা বর্ণালী দাস বেরার প্রাণ গিয়েছে। গুরুতর জখম বর্ণালীর স্বামী চন্দন দাস,
জানা গিয়েছে, ওডিশার জাজপুরের বারাবাটিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে ফিরছিল। চিকিৎসা সহ অন্যান্য প্রয়োজনে ওডিশায় যাওয়া যাত্রীরা এই বাসে করে পূর্ব মেদিনীপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসটির শেষ গন্তব্য ছিল নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ড। মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসটি যাত্রী নিয়ে নন্দকুমারে আসার কথা ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনই বিপুল পরিমানে বাস ওডিশায় যায়। কটক, পুরী, ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্যই যাত্রীরা এই বাসগুলিতে যাতায়াত করেন। এই বাসটিও দীর্ঘদিন ধরেই নন্দকুমার থেকে ওডিশা এবং সেখান থেকে পুনরায় নন্দকুমারে ফিরে আসে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘কালিয়ানানা’ বাসটি রবিবার বিকেলে নন্দকুমার থেকে ছেড়ে ওড়িশায় গিয়েছিল। এবং সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ সেটি পুনরায় ওড়িশা থেকে ছেড়ে নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে আসছিল। তবে মাঝপথে পথে জাজপুরের কাছে সেটি ফ্লাইওভার থেকে সটান নীচে পড়ে যায়। অভিজ্ঞ চালক হলেও কীভাবে এই দুর্ঘটনা সেই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে সকলের মনে।
ইতিমধ্যে ওডিশা সরকার আহত সব রোগীদের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব বহন করছে বলে জানানো হয়েছে। আহতদের প্রথমে ধর্মশালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গুরুতর জখম ৩৫ জনকে কটকের শতাব্দী প্রাচীন এসসিবি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান হয়। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে ওডিশা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহগুলি দ্রুত ময়না তদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এ রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবর।