বামেদের দখলে ধর্মতলা চত্বর। অবরুদ্ধ মধ্য কলকাতা। পতাকা হাতে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মীদের স্লোগান উঠছে, সুদীপ্ত, মইদুল, আনিস হত্যার সিবিআই তদন্ত-ইনসাফ চাই, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য চাকরি চাই। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ কাতারে কাতারে বাম ছাত্র, যুবদের গন্তব্য ধর্মতলা।
সভার অনুমতি ঘিরে গত সপ্তাহভোর লালবাজার ও বাম ছাত্র-যুব সংগঠন নেতৃত্বের মধ্যে টানাপোড়েন চলেছে। শেষ পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া হাইসের সামনে ইনসাফ সভার অনুমতি দেয়নি লালবাজার। ফলে ডোরিনা ক্রসিংয়ে বাঁধা হয় মঞ্চ। কিন্তু, এসএফআই-ডিওয়াইএফআই নেতা, কর্মীরা বেলা গড়াতেই ভিড় জমাতে শুরু করেন ধর্মতলা চত্বরে। ধর্মতলাতেই সভা হবে বলে হুঙ্কার ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত ধর্মতলাতেই সভা হচ্ছে। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের জায়গাতেই সভা করছে বাম ছাত্র, যুবরা।
রাজপথে বামেরা। সরগরম কলকাতা। হাওড়া, শিয়ালদহ এবং পার্কস্ট্রিট থেকে মিছিল ধর্মতলায় এসেছে। স্তব্ধ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে লেনিন সরণি, এসএন ব্যানার্জী রোড থেকে জওহরলাল নেহরু রোড। তবে এ দিন পুলিশের সঙ্গে বাম নেতা, কর্মীদের সংঘর্ষ হয়নি।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'মানুষ ইনসাফ চাইছে। তৃণমূলের হাত থেকে মুক্তি চাইছে। তাই সকলে কলকাতায়। ডোরিনা ক্রসিংয়ে জায়গা হবে না। তাই সকলে পথে মেনে ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে গেছেন। আাদের কিছু করার নেই। এবার পুলিশ বুঝে নেবে। মানুষ পথে জায়গা বেছে নিয়েছে।'
এ দিন বাম ছাত্র-যুবদের সভায় উপস্থিত ছিলেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। ধর্মতলায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে আনিস খানের জন্য 'ইনসাফ' চান তিনি। ছিলেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত বাম ছাত্র, যুবদের পরিবারবর্গও।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মঃ সেলিম থেকে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়- আনিস খানের মৃত্যুর জন্য তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেন। পুলিশকে অন্যায়ভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন। মহঃ সেলিমের হুঁশিয়ারি, 'জাগ্রত জনতার সামনে পুলিশের ঢাল কাজ করবে না, দেখিয়েছে বর্ধমান। আজ আনিস খানের বাড়ির লোকেদের নামে এফআইআর করছে পুলিশ। তৃণমূল মানে টাকা মারা কোম্পানি।'
আরও পড়ুন- ‘শুনেছি রেগে-টেগে যান, ভদ্র বলেই তো মনে হয়েছে’, মমতাকে নিয়ে মন্তব্য বিচারপতি গাঙ্গুলির