Advertisment

BJP-র মিসড কলের পাল্টা, ডিজিটাল QR কোড দিয়ে সদস্য সংগ্রহে SFI

সদস্য সংখ্যা বাড়াতে বিজেপির মতোই বামেরাও এবার ডিজিটাল মাধ্যমেই ভরসা রাখছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sfi trying to increase their members through qr code

সদস্য সংখ্যা বাড়াতে বামেদের ঢালও ডিজিটাল মাধ্যম।

সদস্য সংখ্যা বাড়াতে বিজেপির মতোই বামেরাও এবার আাঁকড়ে ধরছে ডিজিটাল মাধ্যমকে। মিসড কলের মাধ্যমে বিজেপি তাদের পার্টির সদস্যা সংখ্যা বাড়ানোর পন্থা নিয়েছিল। এবার সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই QR কোডের মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমানে তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পথ নিল। বাম ছাত্র সংগঠনের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে জেলার এক টিএমসিপি নেতা বলেন, ''বামেরা হল বিজেপির ভাব শিষ্য। তাই সংগঠন তৈরির কায়দা-কানুনও তাদের একইরকম হবে, এটাই স্বাভাবিক।''

Advertisment

একুশের বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হলেও হাল ছাড়েতে নারাজ বামেরা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট ও চব্বিশের লোকসভা ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে এখন থেকেই মরিয়া তাঁরা। দলের হয়ে বড় ভূমিকা পালনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI) ও ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনমত সংঘটিত করার জন্য এসএফআই তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে। এসএফআইয়ের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা পোস্টারও তৈরি করেছে। সেই পোস্টারেই এখন ছয়লাপ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর সহ গোটা জেলার বাজার, হাট, বাসস্ট্যান্ড চত্বর।

ওই পোস্টারে বড় বড় অক্ষরে আবেদন জানিয়ে লেখা রয়েছে, 'এসএফআই (SFI)-এর সদস্য হও'। সেই লেখার ঠিক নিচেই দেওয়া রয়েছে একটি ’কুইক রেসপন্স কোড’। সেই কোডের নিচে আবার লেখা রয়েছে, 'স্ক্যান কিউ আর (QR) কোড- জয়েন এসএফআই'। এই পোস্টার ঘিরেই শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক-বিরোধী তুমুল তর্জা।

আরও পড়ুন- উদ্ধার মালিকহীন কোটি কোটি, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, বড় চ্যালেঞ্জ ED-র

এই পোস্টার প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য তথা জামালপুর ব্লকের এসএফআই সম্পাদক নীলকমল পাল বলেন, ''কিউআর (QR) কোড দেওয়া পোস্টারের মাধ্যমে এসএফআইয়ের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা পথেও আছি, হেঁটেও আছি, নেটেও আছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি আমরা। সেই লড়াইয়ের সঙ্গী হতে সবাইকে কিউআর (QR) কোড স্ক্যান করে এসএফআইয়ের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।'' সদস্য বাড়ানোর এই পথকে বিজেপির অনুকরণ বলে মানতে চাননি তিনি।

আরও পড়ুন- ‘BJP-র নবান্ন অভিযানের খরচ ১১ কোটি’, ‘জাগো বাংলা’র প্রতিবেদন ভিত্তিহীন, দাবি পদ্ম শিবিরের

এদিকে এসএফআইয়ের কিউআর কোড ব্যবহারের পন্থাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের জেলা সহ-সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, ''বাম আমলে সিপিএম ও তাদের সমস্ত শাখা সংগঠন কম্পিউটার সহ ডিজিটাল মাধ্যমেরই বিরোধিতা করেছে। একমাত্র কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই দেশে ডিজিটাল ব্যস্থাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। সেই বামেরাই এখন নকল করছে বিজেপিকে। মিসড কলের মাধ্যমে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের পন্থাকেই অনুসরন করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ডিজিটাল কিউআর (QR) কোডের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে।''

সংগঠনের সদস্য বাড়ানোর এই পন্থাকে কটাক্ষ করে বাম-বিজেপি দু’পক্ষকেই বিঁধেছে তৃণমূল। টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি শেখ সাদ্দাম বলেন, ''বামেরা হল বিজেপির ভাব শিষ্য। দু'টো দলই জনবিচ্ছিন্ন। তাই সংগঠন তৈরির কায়দাকানুনও এই দুই দলের একই রকম হবে, এটাই স্বাভাবিক।''

West Bengal bjp SFI-DYFI East Burdwan SFI
Advertisment