Ration Scam: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে স্ক্যানারে শঙ্কর আঢ্যর পরিবার। আগেই ধৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যদের তলব করেছিল ইডি। 'নিজের মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলেছিলেন শঙ্কর আঢ্য, দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই ৯৫ বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার হদিশ মিলেছে। ৬টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের নামে, বাকি সংস্থা ছিল 'ভুয়ো নামে', আদালতে জমা দেওয়া তালিকায় দাবি করেছে ইডি (ED)।
সত্য উগরোতে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে গিয়েছেন, শঙ্কর আঢ্যর ভাই, বৌ, মা ও মেয়ে। চলছে জেরা। এদিন শঙ্কর আঢ্যকে মেডিক্যালের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বেরোনোর সময় শংঙ্কর তাঁর পরিবারের সদস্যদের তলব প্রসঙ্গে বলেন, 'তদন্তের স্বার্থে যাকে খুশি ডাকতেই পারে এজেন্সি।' তদন্তকারীদের অনুমান, কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হবে, সেই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শংকর আঢ্য। যাতে পরিবারের সদস্যদেরও যুক্ত করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই রহস্যভেদ করতে এবার আঢ্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ইডির নজরে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। তাঁকে আদালতে পেশ করে বিস্ফোরক দাবি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এক-দু কোটি বা পাঁচশো-হাজার নয়, রেশনে দুর্নীতির অঙ্কটা ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা! এমন কি দুর্নীতির এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইডি।