নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডি-র জালে আরও এক তৃণমূল নেতা। শুক্রবার টানা সাত ঘণ্টা জেরার পর হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শান্তনু শুরুতে জিরাট কলেজের টিএমসিপির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তারপর হুগলি জেলায় যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ সামলান। পরে পান রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব।
Advertisment
নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কের মধ্যে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রথম তুলে ধরেন এই মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডল। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষের সঙ্গেই শান্তনুর নামটাও বলেছিলেন তাপস মণ্ডল। চলতি বছর জানুয়ারিতে কুন্তল ঘোষের চিনার পার্কের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সেই সময়ই শান্তনুর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান করে ইডি। সেই অভিযানেই শান্তনুর বাড়ি থেকে মেলে বহু চাকরি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড। তারপর থেকে অন্তত সাতবার জেরা করা হয়েছে হুগলির এই যুব তৃণমূল নেতাকে।
শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় তৃণমূলের যুব নেতা ও হুগলির কর্মাধক্ষ্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত ৭৫ জনের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এইসব অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছিল তাঁর। তাঁদের মধ্যে শান্তনু ছিলেন অন্যতম।