হুগলিজুড়ে শান্তনুর অগাধ সম্পত্তি। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হুগলি জেলা পরিষদের এই কর্মাধ্যক্ষের কমপক্ষে ২০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। হুগলির বলাগড়ে রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিলাসবহুল রিসর্ট। এছাড়াও জিরাটের অসম রোডের ধারে বিলাসবহুল ধাবা, উল্টোদিকেই গেস্ট হাউস, এছাড়াও রয়েছে নানা সম্পত্তি। এককথায় হুগলিজুড়ে রীতিমতো সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন জেলা তৃণমূলের এই যুব নেতা।
নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তলের মতোই বিরাট যোগ তৃণমূল পরিচালিত হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। লক্ষ-লক্ষ টাকার বিনিময়ে 'চাকরি বিক্রি'র তিনিও বেশ বড়সড় ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। হুগলির বলাগড়ে শান্তনুর বিলাসবহুল রিসর্টের হদিশ মিলেছে। গোটা রিসর্টটি সিসি ক্যামেরায় মোড়া। রিসর্টের বাইরের গ্যারাজে দুটি গাড়ি।
আরও পড়ুন- এসএসসি দুর্নীতি: আদালত চত্বরে বিস্ফোরক শান্তনু! অভিষেক ঘনিষ্ঠের নিশানায় কারা?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনু ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রিসর্টের কর্মীরা তালা লাগিয়ে চলে গিয়েছেন। এখন আর সেখানে কারও হদিশ মিলছে না। রিসর্টে মাঝেমধ্যেই নানা ধরনের লোকজনের যাতায়াত ছিল। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সেখানে প্রায়শই যেতেন। রিসর্টের মধ্যেই রয়েছে সুইমিং পুল। শান্তনু বছরখানেক আগে বলাগড়ে ওই রিসর্টটি তৈরি করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও জিরাটের অসম রোডের ধারে শান্তনু বিলাসবহুল একটি ধাবারও খোঁজ মিলেছে। সেই ধাবার মধ্যে রয়েছে নাকি একটি হুক্কা বার। ধাবার ঠিক উল্টোদিকের রাস্তায় রয়েছে গেস্টহাউস 'ইচ্ছেডানা'।
এককথায় গত কয়েক বছরে রকেট গতিতে উত্থান হয়েছে জেলা তৃণমূলের এই নেতার।