বয়স কোনও বাধা নয়, এই প্রবাদেরই বাস্তব নজির মালদার ইংরেজবাজারের গয়েশপুর অঞ্চলের ৬১ বছরের তরুণ শান্তনু মৈত্র। এই বয়সে ১১ দিন পায়ে হেঁটে ১৩০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে দুর্গম এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছান শান্তনুবাবু। একানেই তামেননি এই বৃদ্ধ। সেখান থেকেই সরাসরি সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের অভিযানের সাফল্যতার প্রচার করেন তিনি। দুর্গম পথের সফল অভিযানের পর শান্তনু মৈত্র মনোবল ও সাহসিকতা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে মালদা পর্বতারোহীদের মধ্যে। খুশি পরিবার থেকে পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
শান্তনুবাবু মালদার গৌড় গ্রামীণ বঙ্গীয় বিকাশ ব্যাঙ্ক কর্মরত ছিলেন। গত বছর তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। কিশোর বয়সে স্বপ্ন দেখেছিলেন পর্বতআরোহী হওয়ার। কিন্তু সময় সঙ্গে দায়িত্ববোধ বেড়ে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি তিনি। তাই ব্যাঙ্কের কর্মজীবনে অবসরের পর কিশোর বয়সের স্বপ্ন পূরণ করলেন তিনি। অবলীলায় ৬১ বছর বয়সে দুগর্ম পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে সাড়া ফেলেছেন তিনি।
অসাধ্য সাধনের পর শান্তনু মৈত্র বলেন, 'প্রায় ১৩০কিলোমিটার পাহাড়ী পথ সত্যিই দূর্গম। রয়েছে নানান প্রতিকূলতা। শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে তা সম্ভব নয়। অক্সিজেন অভাব হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজন হয়নি। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এভারেস্টের বেসক্যাম্পে অভিযানে যাওয়ায় সফলতা আসে।' প্রথমে এই অভিযানের সফলতা নিয়ে তিনি নিজেই ধন্দে ছিলেন। কিন্তু মানসিক জেদ ও সাহসিকতাকে সম্বল করে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন 'তরুণ' শান্তনু। আর তারপরই এভারেস্টের বেসক্যাম্পে পৌঁছানোর অভিযানে সাফল্য ধরা দিয়েছে।