কোনওক্রমে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। জীবনহানির ঘটনাও ঘটতে পারত। শুক্রবার আচমকাই রেলের কামরার সংযোগ ছিন্ন করে ছিটকে গেল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। সমগ্র ঘটনাতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ট্রেনের যাত্রীরা। ভাগ্য়ক্রমে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়নি ট্রেনটি। তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বোলপুরের স্টেশন ম্যানেজার।
আরও পড়ুন- বিদ্যুৎহীন স্কুল, আসানসোলে মাঠে বসেই চলছে পঠন পাঠন
ঠিক কী ঘটেছিল?
বোলপুর স্টেশন থেকে ট্রেন সবে প্ল্যাটফর্ম ছেড়েছে। আচমকা ঝাঁকুনি দিয়েই থেমে যায় হাওড়ামুখী শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। হঠাৎই দেখা যায় ট্রেনের বগির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ইঞ্জিনের। বগি ছেড়ে কিছুটা এগিয়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিন। সঙ্গে সঙ্গেই পিছনের বগির রেল গার্ড ইনফরমেশন পাঠান ট্রেন চালককে। তারপর ছিন্ন হয়ে যাওয়া ট্রেনের বগির সঙ্গে ইঞ্জিনকে জুড়তে ছুটে যায় রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। যদিও এই ঘটনার পিছনে ইঞ্জিনের চালক এবং ট্রেনের নিরাপত্তা রক্ষীদের গাফিলতি দায়ী বলে মনে করছেন রেলযাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, বোলপুরের অনতিদূরেই অজয় নদ। ঘটনাটি স্টেশনের বাইরে হলে দুর্ঘটনার গতিপ্রকৃতি ঠাহর করেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন- পায়ে পায়ে বিশ্বজয়ের লড়াইয়ে মগ্ন আসানসোলের অদ্রিজা
তবে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি বোলপুর স্টেশন ম্যানেজার। কিন্তু কী কারণে এমন একটা ঘটনাটি ঘটল? স্টেশন ম্যানেজারের বক্তব্য, "ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে বগিকে যুক্ত করা হয়, এমন কোনও যন্ত্রাংশ জোড়ার ক্ষেত্রে কিছু ভুল ছিল। সেই কারণেই এই বিপত্তি।" এই ঘটনার পর রামপুরহাট লাইনে ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পরবর্তীতে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় পঞ্চাশ মিনিট পর হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস।