নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহার ভূমিকার প্রমাণ মিলেছে। আদালতে এই দাবি করেছে সিবিআই। নিয়োগের জন্য 'অযোগ্য' চাকরিপ্রার্থীদের থেকে শান্তিপ্রসাদের কাছে টাকা যেত বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন কুমার রায় মিডলম্যানের কাজ করতেন। তাঁদের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হত। প্রদীপ ও প্রসন্নকে গ্রেফতারের পর জেরায় এই ত্য সামনে এসেছে।
সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, প্রদীপে কম্পিউটার থেকে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের তালিকা উদ্ধার হয়েছে। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও যে সব প্রার্থীদের নিয়োগ করা হত, তাঁদের সঙ্গে এই প্রদীপ ও প্রসন্ন যোগাযোগ করতেন। তালিকা তৈরি করে পাঠানো হত এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে। নগদ 'অযোগ্য'দের থেকে টাকায় নিয়ে চাকরি দেওয়া হত।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নিয়োগ পত্র ও অ্যাডমিট কার্ড কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই সব প্রার্থীদের সঙ্গে গোয়েন্দারা যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
নবম-দশমে টাকার বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় এ দিন শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আর্জি খারিজ হয়। তাঁকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাতের নির্দেশ দেন বিচারক। একই নির্দেশ হয়েছে 'মিডলম্যান' প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপ সিংয়েরও।