/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/highcourt-759-news.jpg)
Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্ট।
Sharmishta Panoli: অবশেষে ঘৃণামূলক পোস্ট কাণ্ডে জামিন পেলেন শর্মিষ্ঠা পানোলি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট ২২ বছর বয়সী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক পোস্টের অভিযোগ উটেছিল শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে। দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে এনেছিল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পুনের সিম্বিওসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী পানোলির সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ফলোয়ার রয়েছে — X-এ প্রায় ৮৫,০০০ এবং ইনস্টাগ্রামে ৯০,০০০ ফলোয়ার। গত শুক্রবার বিকেলে তাকে তাঁর গুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। গত ১৪ মে, AIMIM-এর জাতীয় মুখপাত্র ওয়ারিস পাঠান তাঁর পোস্ট করা একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি ইসলামকে অপমান করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। পাঠান তাঁর পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানান।
গত ১৫ মে, পানোলি X-এ পোস্ট করেছিলেন, “আমি এতদ্বারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। যা কিছু বলা হয়েছে তা আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং আমি কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত করতে চাইনি, তাই যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি তার জন্য দুঃখিত। আমি সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া আশা করি। এখন থেকে, আমি আমার পাবলিক পোস্টে সতর্ক থাকব। আবারও বলছি, দয়া করে আমার ক্ষমা গ্রহণ করুন।”
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update: আর 'রিস্ক' নিলেন না কেষ্ট! অবশেষে পুলিশি হাজিরা অনুব্রত মণ্ডলের
পানোলির পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ মে গার্ডেন রিচ থানায় ওয়াজাহাত খান নামে একজন অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দিল্লিতে গিয়ে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক যিনি রশিদী ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তার বিরুদ্ধে বিএনএসের একই ধারায় মামলা করা হয়েছে - ১৯৬(১) (ক) বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার, ২৯৯ (যে কোনও শ্রেণীর নাগরিকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ কাজ), ৩৫২ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান), এবং ৩৫৩(১)(গ) (যা জনসাধারণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এমন বক্তব্যের সাথে সম্পর্কিত)। সুজিত ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে গল্ফ গ্রিন থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, কলকাতা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসাম পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশও ওয়াজাহাতকে খুঁজছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসাম পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল ওয়াজাহাত খানের বাড়িও ঘুরে গিয়েছে।