Wajahat Khan Arrested: যার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও আইনি পড়ুয়া শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ, সেই ওয়াজাহাত খানকেই এবার গ্রেফতার করা হল। অভিযোগ, ১ জুন থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। একাধিক সমন জারি করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। এরপর ধারাবাহিক অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। আজ সোমবার কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর ধারা 196(1)(a)/299/352/353(1)(c) এর অধীনে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে তার নামে
কলকাতার গল্ফ গ্রীন থানায় ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক ভাষণ ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা রুজু হয়। অভিযোগ, সামাজিক মাধ্যমে তিনি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অপমানজনক, বিদ্বেষমূলক ও অশ্লীল মন্তব্য করেন।
ঘটনার সূত্রপাত শর্মিষ্ঠা পানোলির একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে। ৩০ মে গভীর রাতে ওই ভিডিওর ভিত্তিতে গুরগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ভিডিওতে মুসলিম বলিউড সেলিব্রিটিদের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিষয়ে চুপ থাকার জন্য আক্রমণ করেন শর্মিষ্ঠা। ভিডিওটি পরে ডিলিট করে, তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। এরপর থেকেই আত্মগোপন করেছিলেন অভিযোগকারী ওয়াজাহাত খান। তাঁর পরিবার জানায়, তিনি বাড়ি ফেরেননি এবং পানোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর থেকে তাঁদের হুমকি ফোন আসতে থাকে।
ইতিমধ্যে ২ জুন, কলকাতার গার্ডেনরিচ থানায় শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদের তরফে ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি হিন্দু দেবদেবী ও ধর্মীয় সংস্কৃতিকে উদ্দেশ্য করে অশালীন, কুরুচিকর ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন। অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, অপারেশন সিঁদুর সংক্রান্ত মামলায় শর্মিষ্ঠা পানোলিকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ নয়— তা ধর্মীয় অনুভূতিতে কখনই আঘাত করার অনুমতি দেয় না।
এদিকে ওয়াজাহাত খানের গ্রেফতারের পরই মমতা সরকারকে নিশানা করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন,"হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে একাধিক রাজ্যে দায়ের হয়েছে FIR। কিন্তু গ্রেফতার নয়, বরং কলকাতা পুলিশের হাতে ‘সেফ কাস্টডি’-তে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত ওয়াজাহাত খানকে" । তিনি আরও লিখেছেন, অসম ও হরিয়ানা পুলিশের নজর ছিল অভিযুক্তের উপর। দুই রাজ্যের পুলিশ যখন তাকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনই তাকে ‘নিরাপত্তার’ অজুহাতে নিজেদের হেফাজতে নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসন"।